ভক্তির অবতার শ্রীচৈতন্য
-- স্বামী হরিময়ানন্দ
ধারাবাহিক রচনা
“চৈতন্যদেব ভক্তির
অবতার; জীবকে ভক্তি শিখাতে এসেছিলেন।” - শ্রীরামকৃষ্ণ।
।। পর্ব -১ ।।
© খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে, বল্লালসেনের পুত্র
লক্ষণ সেনের রাজত্বকালে বাংলার নবদ্বীপ অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী নগরে পরিণত হয়।
জ্ঞানীগুণী পণ্ডিতদের বসবাস এখানে। বিদ্যাচর্চা, শিক্ষা-সভ্যতার প্রধান কেন্দ্র
নবদ্বীপ। অন্যান্য দূর দেশ থেকে বিদ্যার্থীরা আসত এখানে শিক্ষালাভের জন্য।
বিদ্যাচর্চা সুখসমৃদ্ধি থাকলেও সমাজে ধর্মভাবের অভাব ছিল। লোকে পাণ্ডিত্য, ধণ,
সুন্দরী-স্ত্রী ,পুত্র এই সব লাভকেই জীবনের সার্থকতা বলে মনে করত। ধর্ম আচার
অনুষ্ঠান যে-টুকু হত, তারও একমাত্র উদ্দেশ্য সংসারসুখ ভোগ। এরপর যখন রাজসিঙ্ঘাসনে
মুসলমান নবাব বাদশাদের আগমন হল, ধর্ম তখন আরও সংকটের সম্মুখিন হল। রাজার অনুগ্রহ
লাভের আশায় স্বেচ্ছায় বা দায়ে পড়ে বহুলোক ইসলাম ‘কবুল’ করলেন। দলে দলে লোক মুসলমান হতে লাগল। হিন্দু ধর্মের এই ভয়ানক দুর্দিনে
আবির্ভাব হয়েছিল প্রেমের আবতার নামে খ্যাত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর।
জন্মগ্রহণ
১৪৮৬ খৃষ্টাব্দের
ফাল্গুন মাসে দোলপূর্ণিমায় আবির্ভাব। সেদিন ছিল চন্দ্র গ্রহণ। দলে দলে লোক
হরিধ্বনি করতে করতে গঙ্গাস্নানে যাচ্ছে এমন সময় জগন্নাথ মিশ্রের বাড়িতে হল নতুন
চন্দ্রোদয়। মানুষকে ভগবদ্ভক্তি শেখাতে ভগবান ধরাধামে আর্বিভূত হলেন। মায়ের নাম শচীদেবী ও পিতার নাম শ্রীজগন্নাথ মিশ্র। নিষ্ঠাবান, ঈশ্বরপরায়ণ
মিশ্র দম্পতী পর পর কয়েকটি কন্যা সন্তানের মৃত্যুর পর একটি পুত্র সন্তান লাভ করেছিলেন,
নাম বিশ্বরূপ। বিশ্বরূপের জন্মের ৮ বছর পর
উজ্জ্বল গৌরবর্ণ দেবতুল্য মনোহর
কান্তি আর একটি শিশু জন্ম গ্রহণ করে। পিতা নাম রাখেন বিশ্বরূপের নামের সঙ্গে
মিলেয়ে বিশ্বম্ভর। শচীমা আদর করে ডাকতেন নিমাই। গৌর বর্ণ বলে কেউ কেউ গৌরাঙ্গ বা
গৌরহরিও বলতেন।
জগন্নাথ
মিশ্রের পিতা উপেন্দ্র মিশ্র বর্তমান বাংলাদেশের শ্রীহট্ট জেলার ‘ঢাকা দক্ষিণ’ নামক গ্রামে বাস করতেন। লেখাপড়ার জন্য জগন্নাথ
মিশ্র ছোট বেলায় নবদ্বীপে চলে আসেন ও পরে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
এমন চঞ্চল
ও বুদ্ধিমান বালককে সামলাতে গিয়ে শচীদেবীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হত। আবদার মত জিনিস না
পেলে কান্নাকাটি করে মাটিতে গড়াগড়ি দিত বা ঘরের সব জিনিসপ্ত্র চারিদিকে ছড়িয়ে দিত।
বয়স বাড়ার সঙ্গে দুষ্টুমি বাড়তে থাকে। একদিন বাড়িতে এক সাধু অতিথি এসেছেন। তাঁর
আহারের ব্যবস্থা করেছেন মা। সাধু আহার্য ভগবানের উদ্দেশে নিবেদন করে তন্ময় হয়ে
ধ্যান করছেন। এমন সময় নিমাই চুপি চুপি ঘরে ঢুকে সাধুর গা ঠেলে বলতে লাগল, “ওগো চেয়ে দেখ না – আমি খাচ্ছি।“ শচীদেবী জানতে পেরে মাথায় হাত
দিয়ে হায় হায় করতে লাগলেন। সাধুর মনে কোন রাগ বা দুঃখ দেখা গেল না। প্রিয়দর্শন
বালক পাড়া প্রতিবেশী সকলের কাছে খুবই আদরের হয়ে উঠল। মাঝে মাঝে বাল্যের চপলতা এমন
হত যে নিমাইকে সামলানো মুস্কিল হত। পিতার শাসনে একটু ভয় করলেও মাকে একদম গ্রাহ্য
করতেন না। নানা ভাবে চেষ্টা করে যখন পারতেন না, মা শচীদেবী নিরুপায় হয়ে কাঁদতেন।
মায়ের চোখে জল দেখলে নিমাই আর স্থির থাকতে পারতেন না, মায়ের গলা জড়িয়ে ধরতেন।
বিদ্যারম্ভ
পাঁচ বছর বয়স হলে শুভদিনে হাতে-খড়ি দিয়ে পাঠশালায়
বিদ্যারম্ভ হল। মেধাবী নিমাই অল্প দিনেই অক্ষর পরিচয় করে লিখতে শুরু করল। দাদা
বিশ্বরূপ তখন টোলে শাস্ত্রাদি পড়াশুনা করত।
সকলে খুব ভালবাসত নিমাইকে। এদিকে নিমাইয়ের আবদার ও
বেড়েই চলল। একদিন পাশের এক ব্রাহ্মণের বাডিতে একাদশী ব্রত উপলক্ষে পূজার
আয়োজন হয়েছে। ফলমূল মিষ্টি ইত্যাদি দেখে এসে বাড়িতে ভীষণ কান্নাকাটি ঐ নৈবেদ্য
চাই। শচী দেবী চমকে উঠলেন, এতে অমঙ্গল হবে। কোন কথা না শুনে বালক কেঁদে
মাটিতে গড়া গড়ি দিতে লাগল। "জগদীশ পণ্ডিতের বাড়ীর ঠাকুরের নৈবেদ্য চাই”। শুনতে পেয়ে ব্রাহ্মণের বাড়ি থেকে নৈবেদ্য নিয়ে এলে নিমাই শান্ত হল।
ছোট
থেকেই নিমাই বেশ বলিষ্ঠ শরীর ও মেধাবী। সাধারণের থেকে দীর্ঘ শরীর, লম্বা বাহু,
উন্নত বক্ষ, উজ্জ্বল গৌর বর্ণ, সৌম্যদর্শন, প্রেম পূর্ণ দৃষ্টি। ছেলেবেলা থেকে
মাঝে মাঝে নিমাইয়ের একটা অস্বাভাবিক অবস্থা প্রকাশ পেত, বাহ্যজ্ঞান থাকত না। সে
সময় তাঁর দেহের দীপ্তি আরও বেড়ে যেত। কেঊ কেঊ বলত অপদেবতার দৃষ্টি, বায়ু মুর্ছারোগ। কিন্তু বালকের শরীর ও মনে কোন পরিবর্তন দেখা যেত না।
অদ্বৈতাচার্য
নবদ্বীপের
কাছে শান্তিপুরে সে সময় কমলাক্ষ ভট্টাচার্য নামে এক জ্ঞানী ব্রাহ্মণ বাস করতেন।
তিনি শংকর পন্থী সন্ন্যাসী মাধবেন্দ্র পুরীর কাছে দীক্ষা নিয়ে সাধন ভজন করতেন।
শংকরাচার্যের অদ্বৈতবাদ বিষয়ে তিনি চর্চা করতেন ও প্রচার করতেন, তাই সকলের কাছে
তিনি ‘অদ্বৈতাচার্য’ নামে খ্যাত হন। অদ্বৈতাচার্য নবদ্বীপে মাঝে মাঝে আসতেন ও থাকতেন। জগন্নাথ মিশ্রের
পরিবারের সঙ্গে খুবই সৌহার্দ্য ছিল।
দেখতে দেখতে নিমাইয়ের বয়স আট বছর হল। বিশ্বরূপও ষোল পার
করল। শাস্ত্রাদি পাঠ শেষ করে এবারে সংসার যাত্রার জন্য আয়ের ব্যবস্থা উদ্যোগী হবে
এমন সময় বাড়িতে বিশ্বরূপের বিবাহের কথা হতে লাগল। শাস্ত্রজ্ঞ বিশ্বরূপের অন্তরে
সংসারের অনিত্যত্ব ও অসারতা বোধ হওয়ায় তিনি এক গভীর রাতে চিরকালের জন্য সংসার
ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণের ইচ্ছায় বেরিয়ে পড়েন। বহু খুঁজেও কোথাও পাওয়া গেল না। গুণবান
উপযুক্ত পুত্রের শোকে পিতা মাতা অত্যন্ত ব্যাকুল হলেন।
এখন পিতা
মাতার একমাত্র অবলম্বন নিমাই। দাদার গৃহ ত্যাগের পর নিমাইয়ের স্বভাবের অনেক
পরিবর্তন দেখা গেল। পড়াশোনায় অনেক বেশি মনোযোগী। আগের মত চাঞ্চল্য ও খেলাধূলা ত্যাগ
করলেন। ন বছর বয়সে ব্রাহ্মণের উপনয়ন সংস্কার হয়ে গেল। পূজা অর্চনাদিও অল্প দিনে
শিখে নিলেন।
অদ্বৈতাচার্যের সঙ্গে বিশ্বরূপের যোগাযোগ ছিল। তিনিই
তাঁর মনে বৈরাগ্যের ভাব সঞ্চার করেছেন বলে শচীদেবীর ধারণা। আর সেই কারণে তিনি
নিমাইকে অদ্বৈতাচার্যের কাছে যেতে দিতেন না। পাছে দাদার মত নিমাইয়ের মনে সংসার
ত্যাগের ইচ্ছা হয়, সেই জন্য মা খুব সতর্ক থাকতেন।
পিতার মৃত্যু
পিতা জগন্নাথের
বয়স হয়েছে, তাছাড়া পুত্রের সন্ন্যাসে মনে গভীর আঘাত পেয়ে আয়ু ক্রমশঃ ক্ষীণ হয়ে এল।
অন্তিম কাল বেশি দূরে নয় জেনে গঙ্গায় অন্তর্জলি করা হল। নিমাই শোকে অভিভূত হয়ে
পিতার পা-দুটিতে মাথা রেখে অবিরল ধারায় কাঁদতে লাগলেন। পিতারও স্নেহার্দ্র চিত্তে
পুত্রকে, স্নেহের নিমাইকে শেষবারের মত বুকে টেনে নিলেন। তারপর গৃহদেবতা রঘুনাথের
চরণে সমর্পণ করে সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করলেন।
সংসারের
সমস্ত দায়িত্ব এখন এল নিমাইয়ের উপর। গুরুভার কাঁধে নিয়ে নিমাই এখন ধীর স্থির
গম্ভীর ‘কাজের লোক’। পাঠাশালার পড়া শেষ করে নিমাই এখন ব্যাকরণ, সাহিত্য ও অলঙ্কার শাস্ত্র পড়া শুরু করলেন। অল্প
দিনের মধ্যে গভীর জ্ঞানলাভ করে খ্যাতনামা অধ্যাপক মহেশ্বর বিশারদের টোলে ন্যায়
শাস্ত্র পরতে শুরু করেন। তখনকার দিনে ন্যায়শাস্ত্রের সম্মান ও কদর সব থেকে বেশি।
নিমাইয়েরও খুব আকাঙ্ক্ষা তিনি একজন বড় নৈয়ায়িক হবেন।
বাসুদেব সার্বভৌম
প্রাচীন
কালে মিথিলা দেশ ছিল ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়নের প্রধান কেন্দ্র। দেশ দেশান্তর থেকে
ছাত্ররা আসত এখানে পড়াশুনা করতে। মিথিলার পণ্ডিতগণ খুব যত্ন সহকারে পড়ালেও দেশে
ফেরার সময় নব্য ন্যায়ের কোন বই সঙ্গে নিয়ে আসতে পারত না। নবদ্বীপ থেকে এক ব্রাহ্মণ
কুমার মিথিলায় গিয়েছিল ন্যায় অধ্যয়ন করার জন্য। পাঠ শেষে দেশে ফেরার সময় তাঁর পুঁথি কেড়ে
নেওয়া হয়েছিল। তখন সেই প্রতিভাবান যুবক বলেছিল, বাংলা থেকে আর কেউ আপনাদের কাছে
পড়তে আসবে না। অলৌকিক প্রতিভাধর সেই ছাত্র নব্য ন্যায়ের প্রধান বই গুলো সব মুখস্থ
করে নিয়ে ছিলেন। এরপর নবদ্বীপে ফিরে তিনি টোল খুলে সহজ ভাবে দুর্বোধ্য শাস্ত্র পড়াতে
লাগলেন।এরপর ছাত্রদের আর মিথিলায় যেতে হত না। সেদিনের সেই ছাত্র হলেন বিখ্যাত
পণ্ডিত বাসুদেব সার্বভৌম।
সে সময় নব্য ন্যায় নতুন এসেছে। সকলেই নতুন বিষয়
নিয়ে চর্চায় ব্যস্ত। পণ্ডিতরা টীকা-টিপ্পনী লিখতে ব্যস্ত। ছাত্র অবস্থায় নিমাইও
ন্যায়ের উপর একটি টীকা লিখতে আরম্ভ করেন। কথাপ্রসঙ্গে একদিন তাঁর এক সহপাঠী
বন্ধুকে কিছুটা অংশ পড়ে শোনান। শুনতে শুনতে সেই বন্ধুটি কাঁদতে থাকেন। নিমাই তো
অবাক, কী এমন হল! বার বার জিজ্ঞাসা করার পর বন্ধুটি বলল যে, সেও অনেক পরিশ্রম করে ওই একই গ্রন্থের টীকা
লিখেছে। যদি নিমাইয়ের এই টীকা লোকে পড়ে,তার সে বই আর কেউ পড়বে না। এই তোমার দুঃখের
কারণ? নিমাই হাসতে হাসতে সেই মুহূর্তে নিজের লেখাটি গঙ্গায় ফেলে দিলেন।
নিমাইয়ের
বয়স এখন ষোল। পড়াশুনা শেষ করে নিজে একটি টোল খুলে সংস্কৃত ব্যাকরণ পড়াতে শুরু
করলেন। তাঁর পড়ানোর খ্যাতি চারি দিকে ছড়িয়ে পড়ল। প্রচুর ছাত্র আসতে শুরু করল নানা
দূর দূরান্ত থেকে। মাঝে মাঝে বড় বড় পণ্ডিতদের সঙ্গে বিচারে জয় লাভ করায় নাম-যশ
খ্যাতির বিস্তার হল।
বিবাহ
শচীদেবী ও আত্মীয়দের আগ্রহে নিমাইয়ের বিবাহ হল
লক্ষ্মীদেবী নামে এক পরমা সুন্দরী বালিকার সঙ্গে। নতুন বধূটির সেবা শুশ্রুষায় শচীদেবীও
খুব সুখী। দুঃখের সংসার আবার সুখময় হয়ে উঠল।
শ্রীহট্টে তখন নিমাইয়ের বৃদ্ধা ঠাকুমা থাকতেন।
তাঁর খুব ইচ্ছা নাতিকে একবার দেখেন। নিমাই যখন গর্ভাবস্থায় তখন শচীদেবী শ্রীহট্টে
গিয়েছিলেন। এই বৃদ্ধা শচীদেবীকে বলে ছিলেন এক মহাপুরুষ তোমার গর্ভে জন্মাবেন। যা হোক,
কিছুদিনের জন্য নিমাই শ্রীহট্টে আসেন।
সুদীর্ঘ
পথ পেরিয়ে হাজির হলেন ঠাকুমার কাছে। পরম রূপবান, গুণবান নাতিকে দেখে বৃদ্ধার
আনন্দের সীমা রইল না। নিমাই পণ্ডিতের খ্যাতির কথা অনেকেই শুনেছিলেন। বহু অধ্যাপক, পণ্ডিত
আসতেন আলাপ-আলোচনা করতে। গভীর পাণ্ডিত্য, সুমিষ্ট ব্যবহারে সকলের চিত্ত আকৃষ্ট হত
সহজে। এই ভাবে কিছুদিন কাটিয়ে বিভিন্ন গ্রাম, জনপদ দর্শন করে বহু ‘বিদায়’ উপঢৌকনাদি নিয়ে নবদ্বীপে ফিরে এলেন।
এদিকে বাড়িতে ফিরেই দুঃসংবাদ। প্রিয়তমা স্ত্রী
লক্ষ্মীদেবীর সর্প দংশনে মৃত্যু। নিমাই অত্যন্ত ব্যথা পেলেন হৃদয়ে।
অধ্যাপনা
পূর্বের
মত ছাত্ররা আবার প্রিয় অধ্যাপককে পেয়ে খুবই খুশী। পঠন পাঠন চলতে
থাকে। শচীদেবী আবার পুত্রের বিবাহের ব্যবস্থা করেন। বিষ্ণুপ্রিয়া
নামে এক পরমা সুন্দরী গুণবতী কন্যার সঙ্গে মহানন্দে বিয়ে হয়ে গেল। ছাত্ররা, অধ্যাপকরা আত্মীয়স্বজন সকলে মিলে খুব আনন্দে কাজ সম্পন্ন
হল।
এদিকে নিমাই পন্ডিতের পাণ্ডিত্যের খ্যাতি আরও বেড়ে
গেল। এক কাশ্মিরী পণ্ডিতকে কাব্যবিচারে পরাস্ত করে যশঃ আরও ছড়িয়ে পড়ল।নিমাইয়ের পাণ্ডিত্য-গৌরব, নাম-যশঃ চারিদিকে
ছড়িয়ে পড়ায় পণ্ডিত মহলে সবাই ধন্য ধন্য করতে লাগলেন।
অদ্বৈতাচার্য, শ্রীবাসাচার্য প্রমুখ বিশিষ্ট ভক্ত ও হিতাকাঙ্ক্ষীরা বলতে শুরু করলেন, নিমাই এমন একটা মহৎ বংশে জন্মগ্রহণ করে শেষে কিনা বিচার
মল্ল হয়ে দাঁড়াল । পথে ঘাটে যাকে তাকে দেখতে পেলেই ব্যাকরণ, সাহিত্য, তর্কশাস্ত্র নিয়ে বিচার বিতর্কে
মেতে যেতেন। ঈশ্বর প্রসঙ্গে কোন আগ্রহ নেই। ভক্তরা চেষ্টা করতেন নিমাইয়ের সঙ্গ এড়িয়ে
চলবার। অদ্বৈতাচার্য ও নিমাইকে একজন পাণ্ডিত্যাভিমানী যুবক বলে মনে করে পাশ কাটিয়ে
চললেও, নিমাইয়ের প্রতি একটা আকর্ষণ অনুভব করতেন।
ঈশ্বরপুরী
কিছুকাল পর নবদ্বীপে এক প্রবীণ সন্ন্যাসীর আগমন
হয়। শান্ত সমাহিত ঈশ্বরপ্রেমিক সন্ন্যাসীকে দেখে নিমাই খুব আকৃষ্ট হলেন। নিজে
বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শ্রদ্ধা ও যত্ন সহকারে সেবা করলেন। নাম জানলেন শ্রীমৎ স্বামী
ঈশ্বরপুরী। ইনি মাধবেন্দ্রপুরীজী মহারাজের শিষ্য ও অদ্বৈতাচার্যের গুরুভাই। প্রবীণ
সন্ন্যাসী নিমাই, শচীমাতা, ও বিষ্ণুপ্রিয়ার আন্তরিক আতিথেয়তায় ও ব্যবহারে খুবই প্রীত হলেন। পুরীজী
মহারাজ প্রায় এক মাস নবদ্বীপে বাস করেন। শ্রীকৃষ্ণতত্ত্ব ও ভক্তি সম্বন্ধে তাঁর
ব্যাখা শুনে নবদ্বীপবাসীদের প্রাণে আনন্দের সঞ্চার হল। এই সময় পুরীজী মহারাজ একটি
ভক্তিগ্রন্থ রচনা করছিলেন, এখানে সেটির লেখা শেষ হয়। নিমাই পণ্ডিতের খ্যাতির কথা
তিনি জানতেন। তাই নিমাইকে অনুরোধ করলেন বইটি দেখে দেওয়ার জন্য। নম্রতা ও বিনয়
সহকারে পুরীজীকে জানালেন যে তিনি ভক্তিশাস্ত্রে অনধিকারী। গ্রন্থ সমালোচনার
যোগ্যতা তার নেই। নিমাই পণ্ডিতের অভিমান রাহিত্য পুরীজীকে মুগ্ধ করেছিল। অগত্যা
তিনি ব্যাকরণ ও ভাষার ত্রুটি বিচার করতে অনুরোধ করেন। নিমাই তা করে দিয়েছিলেন।
গয়াযাত্রা
পুরীজী
মহারাজের সান্নিধ্য ও গ্রন্থ আলোচনা নিমাইয়ের মনে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। ক্রমে
তর্ক বিচার, নাম যশ, পাণ্ডিত্য এমনকি অধ্যাপনার প্রতি ও উৎসাহ কমতে থাকে। এই ভাবে
কিছুকাল পর নিমাই পিতৃপুরুষের পিণ্ডদানের জন্য গয়াধামে যাত্রা করেন। শাস্ত্র নিয়ম
অনুসারে শ্রাদ্ধাদি সম্পন্ন করলেন। সে সময় গয়াতে থেকে শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী সাধন ভজন
করছিলেন। এখানে এসে আবার তাঁর দর্শন পেয়ে নিমাই খুব আনন্দিত। ঈশ্বর সাধনের
প্রেরণায় নিমাইয়ের মন অত্যন্ত ব্যাকুল ছিল, আর উপর ঈশ্বরপুরীজী কে সামনে দেখতে সে
ব্যাকুলতা আর শতগুণে বৃদ্ধি পেল।তিনি ঈশ্বরপুরীজীর কাছে কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে
সাধন ভজনে নিমগ্ন হন।©
ক্রমশ...
।। পর্ব -২ ।।
এরপর থেকে নিমাইয়ের জীবনে এক দারুণ পরিবর্তন উপস্থিত হয়।আগের সেই মানুষ আর নেই, একেবারে নতুন মানুষ।
কিছুদিন পর গয়া থেকে নবদ্বীপে বাড়িতে ফিরে এলেন।
শচীদেবী ও অন্যান্য সকলে এই অবস্থা দেখে বিস্মিত হলেন। নিমাই কেবল ঈশ্বর প্রসঙ্গ
ছাড়া অন্য কথা বলেন না। আহার ছাড়লেন, নিদ্রা ছাড়লেন, সংসারের কোন কাজে মন নেই।
অধ্যাপনাও বন্ধ। এই অবস্থা দেখে ভয়ে মায়ের প্রাণ শুকিয়ে গেল। বিষ্ণুপ্রিয়াও
প্রাণপণে দিনরাত পতিসেবা করতে লাগলেন।
এই রকম আশ্চর্য পরিবর্তনের কথা সারা নবদ্বীপে
ছড়িয়ে পড়ল। অন্যান্য আচার্য পণ্ডিতরা ও
অনেক বোঝালেন কিন্তু কোন ফল হল না। নিমাইয়ের সহপাঠী কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ তখন একজন
প্রসিদ্ধ ব্যক্তি। তিনি একদিন ক্রিয়াকাণ্ডের প্রশংসা শোনালেন ও কৃষ্ণ ভক্তির
বাড়াবাড়ি ত্যাগ করতে পরামর্শ দিলেন। তাতেও কাজ হল না। কৃষ্ণানন্দ রেগে চলে গেলেন ও
সবাইকে বলতে লাগলেন, নিমাই পন্ডিত পাগল হয়ে গেছে।
এই সময় কাছে দাঁড়ালেন অদ্বৈতাচার্য ও শ্রীবাসাচার্যের
মত প্রবীণ শুভাকাঙ্খী কিছু মানুষ। তাঁরা শচীদেবীকে
বোঝালেন নিমাই-এর এই অবস্থার জন্য চিন্তার কোন
কারণ নেই। মস্তিষ্ক বিকৃতি বা পাগলামি কোনটাই নয়। সাধনভজনের ফলে
ভগবানে প্রতি ভক্তির চিহ্ন। কিছু দিন পর শান্ত হয়ে যাবে। সত্যি সত্যি
কিছু দিন পর তাঁর পূর্বের বিষন্নভাব চলে গেল। মন এক দিব্য
আনন্দে পরিপূর্ণ হল। নবদ্বীপ বাসী ভক্তরাও নিমাই-এর পবিত্র সঙ্গলাভের
জন্য আসতে লাগল। আগের ভাব চলে গিয়ে নিমাই এর শরীরও এখন দিব্য জ্যোতির্ময় হয়ে উঠল।শচীদেবী ও বিষ্ণুপ্রিয়ার অন্তর শান্ত হল। অনেক ভক্ত এখন
নিমাইয়ের সঙ্গে । নিমাইকে কেন্দ্র করে নবদ্বীপে নতুন
ভক্তিপ্রেমের প্রবল স্রোত প্রবাহ হতে শুরু করল।
হরিদাস ঠাকুর
হরিদাস ঠাকুর ও নিত্যানন্দ এই সময় নিমাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সেই প্রবাহ আরও
শতগুণে বেড়ে গেল।
হরিদাস ঠাকুর যিনি যবন হরিদাস নামে পরিচিত ছিলেন। জন্মস্থান
ছিল যশোহর জেলার ব্যুঢ়ন গ্রাম।তিনি বাল্যে মুসলমান ছিলেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে তাঁর
অন্তরে ঈশ্বরভক্তি ও হরিনামে প্রবল অনুরাগ জন্মায়। সারাক্ষণ জোরে জোরে চিৎকার করে
হরিনাম জপ করতে থাকেন। পাড়া প্রতিবেশীরা নিষেধ করলেও কোন কাজ হয় না। অগত্যা বিরক্ত
হয়ে কাজীর কাছে নালিশ করল। কাজীও হরিনাম করতে বারন করলেন। কঠোর শাস্তির ভয়
দেখালেন। তাতেও যখন কাজ হল না কাজী হুকুম দিলেন এই ধর্মত্যাগীকে বেত মারতে মারতে
বাইশ ঘুরিয়ে আনতে। যতক্ষণ হরিনাম বন্ধ না করে বেত মারা থামবে না।বেতের ঘায়ে
হরিদাসের দেহ থেকে রক্ত ঝরতে লাগল, গায়ের চামড়া উঠে গেল, কিন্তু মুখে হরিনাম থামল
না।
হরিপাদ পদ্মে একান্ত শরণাগত হরিদাস কোন ব্যাথাই
অনুভব করেলন না। বরং তাঁর মুখে মুধুর হাসি দেখা গেল। তাঁর অবিচল নিষ্ঠা ভক্তি দেখে
সবাই ভয় পেয়ে গেল।কাজীও আশ্চর্য তিতিক্ষা ও ভক্তি দেখে ভয়ে হরিদাসের কাছে ক্ষমা
চাইল। আর হরিদাসকে অন্য জায়গায় চলে যেতে বললেন। সেদিন থেকে ‘যবন হরিদাস’ নামে তাঁর পরিচয় হল। ভক্তেরা শ্রদ্ধা করে ‘হরিদাস ঠাকুর’ বলতেন।
ব্যুঢ়ন
গ্রাম ছেড়ে তিনি দূরবর্তী অন্য একটি
গ্রামের জঙ্গলের ধারে কুটির বেঁধে থাকতেন। রোজ তিন লক্ষ হরিনাম জপ করতেন চিৎকার
করে। তাঁর ভাবভক্তির কথা অল্প দিনের মধ্যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ল। ফলে বহুলোক তাঁর
প্রতি আকৃষ্ট হতে লাগল। এদিকে প্রবল প্রতাপ জমিদার রামচন্দ্র খাঁর মনে ঈর্ষার
উদ্রেক হল। তিনি অভিসন্ধি করতে লাগলেন কী করে লোকের কাছে হরিদাসকে হীন প্রতিপন্ন
করা যায়।

অর্থের লোভ দেখিয়ে এক দুষ্ট
রমণীকে ঠিক করলেন হরিদাসকে প্রলুব্ধ করতে। কথা মত ওই স্ত্রীলোকটি একদিন গভীর রাতে
হরিদাসের কুঠিয়াতে হাজির। হরিদাস তখন আপন মনে বসে একাগ্র চিত্তে হরিনাম করে
যাচ্ছেন। এমন সময় স্ত্রীলোকটি তাঁর সামনে প্রণাম করে দাঁড়াল। হরিদাস চোখ মেলে
দেখে, ঈশারাতে বাইরে বসতে বললেন। সেখানে বসে অপেক্ষা করতে লাগল। এদিকে হরিনামে
তন্ময় হয়ে হরিদাস স্ত্রীলোকটির কথা একেবারে ভুলে গেলেন। স্ত্রীলোকটি অনেকক্ষণ অপেক্ষা
করল। ভাবল জপ শেষ করে হরিদাস তাঁর সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু তাঁর জপও শেষ হয় না, আর
কিছু বলেও না। স্ত্রীলোকটি বিরক্ত হয়ে শেষে তাঁর সামনে এসে দাঁড়াল। হরিদাস ইঙ্গিতে
বাইরে জপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন। অগ্যতা ফিরে এসে বসে থাকল সে।
এই ভাবে সারারাত কেটে গেলেও হরিদেসের জপ শেষ হল না, তিনি আসন ছেড়ে উঠলেনও না।
ভোরবেলা স্ত্রীলোকটি ব্যর্থ হয়ে ফিরে এল।
রামচন্দ্র খাঁ এত সহজে হার মানার পাত্র নয়। আবার
পাঠালেন, যে কোন ভাবে ছলাকলা দ্বারা কার্য সিদ্ধি করতে হবে। স্ত্রীলোকটিও পর পর
বেশ কয়েক দিন খুব সেজে গুজে নানাভাবে
চেষ্টা করেও কিছু হল না। সমাহিত চিত্ত হরিদাসের মন বিন্দুমাত্র চঞ্চল হল
না। বরং হরিদাসের মধুর ব্যবহারে স্ত্রীলোকটির মনে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জন্মাল। নিজের জীবনের প্রতি
ধিক্কার দিয়ে এই রকম অন্যায় অচরণের জন্য অনুতাপ হল। সে সাধুর কাছে ক্ষমা চাইল।
হরিদাস সান্ত্বনা দিয়ে, সদ্ভাবে জীবন যাপন ও হরিনাম করবার উপদেশ দিলেন। সাধুর
উপদেশে ও আশীর্বাদে তাঁর জীবন আমূল পরিবর্তন হয়ে গেল। যা কিছু বিষয়সম্পত্তি ছিল সব
গরীব দুঃখীদের দিয়ে, দীনহীন ভাবে সাধন ভজনে কালকাটাতে লাগল। লোকে তার স্বভাবের এই
রকম পরিবর্তন দেখে আশ্চর্য হয়ে গেল। সাধু সঙ্গের ফল অমোঘ।
এই ঘটনা প্রচার হওয়ার পর হরিদাসের প্রতি লোকের
শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল। দিন দিন প্রচুর লোক কুঠিয়াতে আসতে লাগল। এতে হরিদাসের সাধন
ভজনে খুব ব্যঘাত হতে লাগল দেখে তিনি কুঠিয়া ছেড়ে, সেই গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেন। হরিদাসের
ফেলে আসা কুঠিয়াতে স্ত্রীলোকটি আমৃত্যু বাস করতেন ও কঠোর সাধন ভজনে দিন কাটাতেন।
হরিদাস নিত্য তিন লক্ষ হরিনাম জপ, অদ্ভুত ভজন
নিষ্ঠা ছাড়লেন না। পরিব্রাজকের মত নানা স্থানে ঘুরতে ঘুরতে শান্তিপুরে এসে হাজির
হলেন। গঙ্গাতীরের পবিত্র পরিবেশ অনুকূল ভেবে সাধন ভজনে ডুবে গেলেন। সে সময়
অদ্বৈতাচার্য শান্তিপুরেরই থাকতেন। হরিদাসকে দেখে আচার্য খুবই আনন্দিত হলেন ও
স্থায়ীভাবে শান্তিপুরে বসবাসের জন্য অনুরোধ জানালেন। গঙ্গাতীরে একটি নির্জন স্থানে
গুহা তৈরি করিয়ে সেখানে হরিদাসের থাকার ব্যবস্থা করলেন। আচার্যই আহারাদি সব কিছুর
ব্যবস্থা করলেন। এই ভাবে কিছু কাল পরমানন্দে কাটল। আচার্যের মুখে
নবদ্বীপের নিমাইয়ের কথা শুনে তাঁকে দর্শন করার জন্য ব্যাকুল হলেন। একদিন
নবদ্বীপে এসে নিমাইয়ের সঙ্গে মিলিত হলেন। ভক্ত হরিদাসকে পেয়ে নিমাইয়েরও আনন্দ উথলে
উঠল।
নিত্যানন্দ
এখানে আর একজনের কথা আমাদের বলতে হবে। তিনি হলেন
নিত্যানন্দ। জন্মস্থান বীরভূম জেলায়।ছোট বেলায় কোন সন্ন্যাসী তাঁর বাবা মায়ের কাছ
থেকে ছেলেকে ভিক্ষারূপে চেয়ে নিয়েছিলেন।
উপযুক্ত সময়ে তিনি তন্ত্র মতে সন্ন্যাস গ্রহণও করেছিলেন। সবাই তাকে অবধূত
বলে বলতেন। তান্ত্রিক সন্ন্যাসীকে অবধূত বলে। এরা পরিব্রাজক হয়ে থাকতে পারেন বা
ইচ্ছা হলে সংসারও করতে পারেন। অবধূত নিত্যানন্দ সাধন ভজন ও তীর্থ দর্শনাদি করে
সমগ্র ভারত ভ্রমণ করেন।তীর্থ ভ্রমণের সময় কোথাও নিমাইয়ের দাদা বিশ্বরূপের সঙ্গে
নিত্যানন্দের দেখা হয়। বিশ্বরূপ তখন দশনামী সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী, নাম স্বামী শঙ্করারণ্য।
দুজন প্রায় সম বয়সী হওয়ায় বেশ বন্ধুত্ব হয় । কথায় কথায় শঙ্করারণ্যের জন্মস্থানের পরিচয়
নিত্যানন্দ জেনে ছিলেন।
বঙ্গদেশে এসে তাই নিত্যানন্দ নবদ্বীপে এলেন।এখানে শ্রীবাসাচার্যের সঙ্গে পরিচয় হয়। নিমাইয়ের নাম
সংকীর্তনের প্রবল আন্দোলনের কথা নিত্যানন্দ আগে কিছু কিছু শুনেছিলেন। এখানে
সাক্ষাৎ পরিচয় পেলেন।প্রেমানন্দে মত্ত নিতাই নিমায়ের সঙ্গে মিলিত হলেন। উভয়েই খুব
আনন্দিত হলেন। নিত্যানন্দ শচীদেবীকে মা বলে ডেকে বিশ্বরূপের সঙ্গে তার পরিচয়ের কথা
বললেন।শচীদেবীও নিত্যানন্দকে পেয়ে খুব খুশী। তিনি আদর করে ‘নিতাই’ বলে ডাকতেন। এখন নিমাই আর নিতাই দুভাইকে নিয়ে শচীদেবীর গৃহ আনন্দে ভরে
উঠল। নিমাইকে দেখাশোনা করা বিশেষত ভাবাবস্থায় রক্ষা করার ভার নিতাইকে দিয়ে শচীদেবী
অনেকটা স্বস্তি পেলেন। নিতাইও ছায়ার মত সব সময় নিমাইয়ের সঙ্গে থাকতেন।
ক্রমশঃ ......।
।।পর্ব -৩ ।।
শ্রীবাস
শচীদেবীর গৃহে এখন নিত্য উৎসব।পূজা পাঠ কীর্তন ভগবৎ
প্রসঙ্গ লেগেই আছে। ভক্তদের নিয়ে প্রতি রাতে ভজন কীর্তন প্রায়ই হত। মাঝে মাঝে শ্রীবাসাচার্যের নির্জন
বাড়িতেও ভজন কীর্তনের আয়োজন হত।ভজন করতে করতে নিমাইয়ের শরীরে কত বিচিত্র ভাবের
বিকাশ হত। তখন তাঁর মুখ দিব্য প্রভায় উজ্জ্বল হয়ে উঠত। একবার গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে
শ্রীবাস-ভবনে ভগবান ব্যাসদেবের পূজার আয়োজন হয়। নিতাই পুজোয় ব্রতী হলেন। ভক্ত
সমাগমে আজ আনন্দের হাট বসেছে। শাস্ত্রবিহীত পূজাদির পর নিতাই ব্যাসের ধ্যানে মগ্ন
হলেন। হাতে চন্দন সুবাসিত ফুলের মালা, আর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুধারা। হঠাৎ
ভাবের ঘোরে নিমাইকে আদিগুরু ব্যাসদেবজ্ঞানে ফুলের মালা পরিয়ে দিলেন। নিমাই ও
ভাববিহ্বল হয়ে পড়লেন। তাঁর মুখমণ্ডলে বৈদ্যুতিক দ্যুতি খেলে গেল। নিতাই তাকিয়ে
দেখলেন শঙ্খ, চক্র,গদা পদ্ম,শ্রীহল ও মুষল হাতে ষড়ভূজমূর্তিতে নিমাই।তিনি হঠাৎ মূর্ছিত হয়ে পড়লেন।
তান্ত্রিকের ঈর্ষা
নিমাইয়ের প্রচারিত ধর্ম সমাজের উপর ধীরে ধীরে
প্রভাব বিস্তার করতে লাগল। তার পবিত্র সঙ্গ গুণে অনেকের জীবনের গতি বদলে গেল।
একদিকে যেমন ভক্ত সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে লাগল, অপরদিকে কিছু ঈর্ষাপরায়ণ লোক নানা
প্রকার কুৎসা রটাতে শুরু করল। অসৎ, ধর্মবিরোধী লোকের সংসর্গে ভক্তির হানি হয় বলে
এই ধরণের লোককে ভজনের সময় আসতে দিতেন না।এতে নিন্দুকদের নিন্দা করার আরও সুযোগ এসে
গেল। বিরুদ্ধ লোকেরা বলতে লাগল, “নিমাই পণ্ডিত বেদসম্মত ধর্মাচরণ ত্যাগ করে কতকগুলি ভণ্ডের সঙ্গে মিলে
সমাজকে অধঃপাতে দিচ্ছে’’। এরমধ্যে এক
দুষ্ট ব্রাহ্মণ যা নাম হয়ে গিয়েছিল চাপাল গোপাল। সে নিমাইয়ের কুৎসা রটনা করবার জন্য একরাতে শ্রীবাসের বাড়ির
সামনে মদের হাঁড়ি আর কলাপাতায় লাল জবাফুল, চাল, দূর্বা এমনভাবে সাজিয়ে রাখল যাতে
লোকের সন্দেহ হয়। লোকে ভাবে তান্ত্রিক কাপালিকদের মতো কোন ক্রিয়া এখানে হয়েছে। এই ভাবে নিন্দুকদের অপচেষ্টা সত্ত্বেও নিমাইয়ের
সাধন ভজন একই ভাবেচলতে থাকল।
সমাজের অবস্থা
নিমাই পূর্ববঙ্গ ভ্রমণের সময় বা গয়াযাত্রার সময় ধর্মের
দুরবস্থা নিজের চোখে দেখেছেন। নবদ্বীপেও কী অবস্থা তিনি দেখলেন। একদিকে
ব্রাহ্মণাদি উচ্চবর্ণের জাতের অহংকার, শিক্ষিতদের মধ্যেও পাণ্ডিত্যের গর্ব। বৃথা
বাদবিতণ্ডাতে ব্যস্ত। অন্যদিকে শূদ্র ও অন্ত্যজ শ্রেণির অজ্ঞতা, অস্পৃশ্যতা,
পূজা-পার্বণে অনধিকার। আর বিদেশীয় বিজাতীয় ধর্মের প্রতি আগ্রহ। এই সব দেখে
নিমাইয়ের প্রাণ কাঁদত।
নিমাই দেখলেন এর থেকে সমাজকে উদ্ধার করতে হলে সবাইকে
সঙ্গে নিতে হবে। তাই তিনি সকলের ভেতরে সমানভাবে মিশে হরিনামের পরামর্শ দিলেন। হরিনাম বিতরণের দ্বারা ধর্ম বিপ্লবের সুচারু
কাজ করত্যে তিনি প্রস্তুত হলেন। তাঁর সুমধুর হরিনাম কীর্তন, অমায়িক ব্যবহার ও
চারিত্রিক দৃঢ়তা সহজেই মানুষের চিত্তকে আকৃষ্ট করত। এর ফলে সমাজে দ্বেষ বৈষম্য
অনেক কমতে লাগল।
এখন নিমাইয়ের সঙ্গে এই প্রচারকাজে যোগ দিলেন নিত্যানন্দ
ও হরিদাস।নবদ্বীপের সর্বত্র অলিতে গলিতে ঘুরে ঘুরে কাঙ্গাল
দীন দুঃখী সবাইকে সঙ্গে নিয়ে হরিনাম প্রচার করতে লাগলেন। নিমাইয়ের প্রভাব দিনে দিনে
বাড়তে লাগল। এর ফলে রক্ষণশীল গোঁড়ার দল খুব চিন্তায় পড়লেন।
জগাই মাধাই উদ্ধার
এই সময় নবদ্বীপে
জগাই মাধাই , যাদের ভালো নাম
জগন্নাথ ও মাধব, এরা দুভাই নগর রক্ষকের কাজ করত। ব্রাহ্মণ সন্তান হয়েও এরা ধর্মকর্ম
না করে গুণ্ডামি , মাতলামি করে বেড়াত। নিমাইয়ের হরিনাম প্রচার ও কীর্তনে তারা অস্থির
হয়ে উঠল। কিছুকাল পরে তাদের দলের গুণ্ডারাও একে একে নিমাইয়ের দলে ভিড়ে গিয়ে হরিনাম
করতে শুরু করল। ফলে এরা আরও গে্ল ক্ষেপে। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে লাগল।

একদিন নিতাই ভাবে বিভোর হয়ে হরিনাম করতে করতে
রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, দেখতে গেয়ে জগাই মাধাই মুখে অশ্লীল গালিগালাজ করতে থাকে।
সামনে দেখতে পেয়ে দুভাই খুব ক্ষেপে গেল। মদের কলসি ছিল ছুঁড়ে মারল নিতাইয়ের দিকে।
মাথা কেটে গিয়ে রক্ত পড়তে লাগল। এই কাণ্ড দেখে চারিদিকের লোক জন হায় হায় করতে
লাগল। একটু পরে ছুটে এল নিমাই। নিমাইয়ের রুদ্রমুর্তি দেখে দুভাই খুব ভয় পেয়ে গেল।
লুটিয়ে পড়ল নিমাইয়ের পায়ে। ক্ষমা করে দিলেন দুই পাষণ্ডকে। মার খেয়ে প্রেম যাচে, এমন
দয়াল কোথায় আছে’ । নিমাই ও
নিতাই শুধু যে জগাই মাধাইকে ক্ষমা করলেন তাই নয়। তাদের জীবন সম্পূর্ণ বদলে দিলেন।
তারা সহজ সাধারণ জীবন যাপন করত। এবং হরিনাম করা শুরু করল। এদের পরিবর্তন দেখে আরও
অনেকেও ধীরে ধীরে সব কিছু ছেড়ে হরিনাম করা শুরু করল। জগাই মাধাইয়ের মধ্যে ধর্মভাব
এমন হয়েছিল যে রোজ গঙ্গায় গিয়ে নিজ হাতে ঘাট ধুয়ে পরিষ্কার করে দিত, যাতে যারা
স্নান করতে আসবে তাদের কোন অসুবিধা না হয়। এখনও নবদ্বীপে সেই ঘাট রয়েছে।
ভক্তদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে লাগল। ভজন কীর্তন
হরিনাম করে প্রচার বেশ ভালোই চলতে লাগল। অদ্বৈত, নিত্যানন্দ, শ্রীধর, শ্রীবাস,
হরিদাস , মুরারি, মুকুন্দ, দামোদর প্রভৃতি বিশিষ্ট ভক্তদের আনন্দের সীমা নেই। বড়
বড় মৃদঙ্গ, করতাল, শিঙ্গা প্রভৃতি জোগাড় করা হল।
নগর সংকীর্তন
সন্ধ্যার পর নবদ্বীপের পথে পথে মশাল জ্বালিয়ে বহু ভক্তদের
সঙ্গে নিয়ে নগর সংকীর্তন শুরু করলেন। সেই মহাসংকীর্তনের ধ্বনিতে আকাশ বাতাস মুখরিত
হয়ে উঠত। ভাবের আবেশে অনেকে নৃত্য করত। কেউ কেউ মাটিতে গড়াগড়ি দিত। ভেদাভেদ ভুলে
সবাই এক সঙ্গে মেতে উঠত।সেই দৃশ্য দেখলে মনে হত যেন পৃথিবীর মাটিতে স্বর্গ নেমে
এসেছে।এই সংকীর্তনের সময় নিমাইয়ের দিব্য কান্তি আরও বিকশিত হত। অপরূপ জ্যোতিতে পূর্ণ
হয়ে উঠত।
সংকীর্তন চলতে চলতে কলা ,মিষ্টি, বাতাসা ইত্যাদি ছড়িয়ে
দেওয়া হত। যাকে ‘হরিলুট’ বলে বলা হত। সামাজিক উচ্চ নীচ ভেদাভেদ ভুলে সবাই ছুটে যেত হরিলুটে। নিমাই
প্রচার করলেন – ‘প্রেমের লুট পড়েছে নদীয়ায়, তোরা কে নিবি ভাই ছুটে
আয়’।
---- ক্রমশঃ
।। পর্ব - ৪ ।।
শাসন ব্যবস্থা
তখন দেশের শাসন ভার মুসলমান নবাবদের উপর ন্যস্ত।
মুসলমান নবাবের নিয়োজিত চাঁদকাজী সাহেব ছিলেন প্রধান বিচারক। তিনি যা মত দেবেন, তার ওপরে
আর কেউ কোন কথা বলতে পারবেন না। কাজীর ভয়ে সাধারণ মানুষ সকলে ভীত সন্ত্রস্ত থাকত।
নবদ্বীপে ওই সময় মুসলমান বাস করতেন ঠিকই, কিন্তু তা সংখ্যায় হিন্দুদের থেকে অনেক
কম। এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি খুবই ছিল। একে অপরের ধর্মকে শ্রদ্ধা করত। অনেক মুসলমান
ছিলেন হিন্দুদেরই বংশধর। তাই আত্মীয়তাও বজায় ছিল, বিশেষ করে যে সময়ের কথা আমরা বলছি।
বিপদে আপদে সুখে দুঃখে ধর্ম ভুলে পরস্পর পরস্পরের পাশে এসে দাড়াত। শুধু তাই নয়,
পারিবারিক অনুষ্ঠান ও উৎসবে একে অন্যের সহায়তা ও আনন্দ বর্ধন করতেন। যে যার ধর্মের
প্রতি নিষ্ঠা বজায় রেখে এক সংগে সানন্দে বসবাস করত।
কিন্তু দিন দিন নিমাই পণ্ডিতের দল বাড়তে লাগল। প্রভাব
প্রতিপত্তি বাড়ার সাথে সাথে শত্রুর দল ঈর্ষায় জ্বলে উঠতে লাগল। একসময় কাজীর কাছে
নালিশ জানালো। নিমাই পণ্ডিতের জ্বালায় নবদ্বীপে থাকা দায়।
কাজীর কাছে নালিশ
কিছু মুসলমানও সংগে যোগ দিলেন। নিমায়ের অত্যাচারে
রাতে ঘুমোতে পারছেন না। নামাজ পড়তে পারছেন না, সংকীর্তনের চিৎকারে। কাজী সাহেবের কাছে
দলবল নিয়ে নালিশ জানানো হল। সমস্ত ব্যাপার শুনে কাজী সাহেব খুব রেগে গেলেন। তিনি নবদ্বীপের
কাছেই থাকতেন। একদিন নিজে নবদ্বীপে এলেন। আজ থেকে আর কেউ পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে চিৎকার
করে কীর্তন করতে পারবে না। তিনি হুকুম জারী করে দিলেন। কাজীর নির্দেশ শুনে শত্রুরা
খুশী হলেন ঠিক। কিন্তু সাধারন মানুষ বা নিমাইয়ের অনুগামীরা চিন্তিত হয়ে পড়লেন। কি
কাণ্ড এবার ঘটবে কে জানে। নিমাই কিন্তু কোন ভয় পেলেন না। বরং বেশ আনন্দ দেখা গেল
তার মধ্যে। আরও উৎসাহে ভাল করে নগর কীর্তনের বন্দোবস্ত করতে লাগলেন।
মহাসংকীর্তন
অন্তরঙ্গ ভক্তদের নিয়ে শত শত মশাল জ্বালিয়ে, বহু খোল
করতাল শিঙ্গা নিয়ে মহা সংকীর্তনের আয়োজন
করলেন। অসংখ্য ভক্তদের নিয়ে রাজপথ দিয়ে কীর্তন করতে করতে এগিয়ে চললেন নিমাই। তিনটি
দলে ভাগ করে সংকীতন দল চলতে লাগল। হরিদাস, অদ্বৈতাচার্য ও নিত্যানন্দ তিন দলের প্রধান
গায়ক হয়ে এগিয়ে চললেন। নিমাই চললেন বিরাট দলের সঙ্গে । মহা সংকীর্তনের ধ্বনিতে
আকাশ বাতাস একেবারে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হতে লাগল। দলে দলে লোক ছুটে আসতে লাগল।
ত্রমশ সংকীর্তন জন সমুদ্রে পরিণত হল। নিমাই অত্যন্ত দক্ষভাবে এই জনসমুদ্রের নেতৃত্ব
দিয়ে কাজীর বাড়ির দিকে এগিয়ে গেলেন।
এত লোকজন ও খোল করতালের শব্দে ও জয়ধ্বনিতে কাজীর
বুক কেঁপে উঠল। একটু পরেই বিশাল জন সমুদ্র
হাজির হল কাজীর বাড়ি। কাজী সাহেব ভয়ে বাড়ির
অন্দরে লুকিয়ে পড়লেন। নিমাই কাজীর বাড়িতে এসে কীর্তন শেষ করলেন এবং কাজীর সঙ্গে দেখা
করার ইচ্ছা জানালেন। কাজীর কাছে খবর পাঠানো হল। নিমাই পণ্ডিত কাজীর সঙ্গে দেখা
করতে চান শুনে খানিকটা সাহস নিয়ে বাইরে এলেন কাজী। বাইরে এসে নিমাইকে অভ্যর্থনা করলেন।
নিমাইও যথোচিত সম্মান দেখিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করলেন।
কাজীর সঙ্গে সখ্যতা
ও মিলন
দুজনেই খুব ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের মত কথা বলতে লাগলেন। দু' ধর্মের প্রীতির কথা শোনা গেল উভয়ের মুখে। পণ্ডিত বোঝাতে চাইলেন – ভগবানকে ভক্তি করা, তাঁর চিন্তা করা, জপ, নাম
গুণকীর্তনের দ্বারা ভক্তিবৃদ্ধি পায়। তাই সকলের উচিত ভগবনের নাম করা। নিমাইয়ের
বিনম্র ব্যবহার ও মধুর কথা শুনে কাজীর অন্তর একেবারে গলে গেল। সে দিন থেকে তিনিও
নিমাইয়ের একজন অনুরাগী হয়ে গেলেন। ফলে কীর্তনের আর কোন বাধা থাকলো না। বরং কিছু ধর্মপ্রাণ
মুসলমান নিমাইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হন। এই ঘটনার পর কার্যত নিমাইয়ের প্রভাব অনেকটা বেড়ে
গেল। উচ্চ-নীচ , ধনী দরিদ্র , ভেদাভেদ ভুলে অনেকেই নিমাইয়ের কাছে আসতেন ধর্ম কথা
শুনতে। তিনিও আন্তরিক ভালোবাসায় সবাইকে আপন করতে পেরে ছিলেন।
ইসলাম ধর্মে
যেমন প্রেম ও মৈত্রীর কথা রয়েছে, সব ধর্মেই প্রায় একই ভাবে সকলের প্রতি প্রেম ও
প্রীতির কথা বলে হয়েছে। ধর্ম গ্রন্থ গুলিতে লেখা থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে তার
প্রয়োগ খুব কমই ছিল। নিমাইয়ের ঈশ্বর ভক্তি সকলকে আমার এক সঙ্গে যেন মিলিয়ে দিল।
হরিনামের ঢেউ উঠেছে দেশ জুড়ে। লোকের মুখে হরিনাম
শুনে ভক্তদের আনন্দের সীমা পরিসীমা নেই।
সংকীর্তনে
মেতে সকলে হরিনাম করে ঠিকই কিন্তু চিত্তে গভীর ভাবে ভগবানের প্রতি অনুরাগ ভালোবাসা
নেই। অন্তরে বিষয়ের প্রতি আকর্ষণ, বাসনার তরঙ্গ আগের মতোই রয়েছে। কীর্তন করলে চোখে
জল আসে, প্রেমে গড়াগড়ি দেয়, ভাবও হয় কিন্তু তা খুব সাময়িক পরক্ষণেই আবার একই রকম বিষয় তৃষ্ণা।
নিমাইয়ের সমালোচনা
এই প্রবল
বিষয় বাসনা দূর করতে হলে চাই বিবেক-বৈরাগ্য। যারা শিক্ষা দেবেন তাঁদের মধ্যেও
ত্যাগ বৈরাগ্য প্রয়োজন। নিমাই মনে মনে
বিচার করতে লাগলেন। পূর্ণ ত্যাগ নিজে না আচরণ করলে যারা তাঁকে অনুসরণ করেন তাঁরাই
বা অনুপ্রেরণা পাবেন কিভাবে? একদিকে নিমাই পণ্ডিত যেমন নিজের জীবন ধারা নিয়ে ভাবছেন,
অন্যদিকে তাঁর শত্রুরাও বলে বেড়াতে লাগল নানা কথা। নিমাই খুব চালাক। বোকা কিছু লোককে ঠকিয়ে দিব্যি
আছে। নিন্দুকদের কথা নিমাইয়ের কানে এল , “ঘরে যুবতী স্ত্রী, টাকাকড়িরও অভাব নেই, বেশ খায়দায়
আর মজা লুটে”। এই সব কথা
শুনে নিমাই চিন্তিত হলেন। তিনি সংসারে থাকলেও অসংসারী । মনপ্রাণ ঈশ্বরে সমর্পিত।
বিষয় বাসনা তাঁর অন্তরে বিন্দুমাত্র ছিল না।
কিন্তু সাধারণ মানুষ তা ধারণা করবেন কী করে? তারা মনে করত নিমাইও তাদেরই মতো একজন, তিনিও বিষয়ী।
সন্ন্যাস-গ্রহণের সংকল্প
নিমাই গভীর চিন্তিত হলেন। বিষয়ের সঙ্গে সম্বন্ধ ষোল আনা ছেদন করার জন্য
মনে মনে প্রস্তুত হতে লাগলেন। মায়ের স্নেহ , পত্নীর ভালোবাসা ও অনুগত ভক্তদের ছেড়ে
সম্পূর্ণ ভাবে ভগবানের পাদপদ্মে আশ্রয় নেবেন স্থির করলেন। সন্ন্যাস গ্রহণ করে,
দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করবেন। নবদ্বীপ ত্যাগ করে দেশে দেশে ও ঘরে ঘরে
হরিনাম প্রচার করবেন। ভগবানের জন্য নিজে সর্বস্ব ত্যাগ না করলে লোককে ত্যাগের
উপদেশ দেওয়া বৃথা।
নিমাইয়ের মনে একদিকে ত্যাগের ভাব যেমন উঠল
পাশাপাশি মায়ের স্নেহের কথা ও তাঁদের দুঃখের কথা ভেবে চিত্ত অবসন্ন হয়ে উঠল। তাঁদের
কোমল হৃদয়ে এই তীব্র আঘাত কী ভীষণ হয়ে উঠবে
ভেবে তিনি শিহরিত হলেন। জীবের দুঃখ দূর করতে যত কষ্টই হোক তিনি আত্মীয় জন ভোগসুখ
সবকিছু ত্যাগ করে দুঃখ কষ্ট কঠোরতা বরণ করতে প্রস্তুত হলেন।©
-- ক্রমশঃ
।। পর্ব-৫ ।।
শ্রীমৎ কেশব ভারতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নবদ্বীপের কাছে কাটোয়াতে
তখন এক প্রবীন সন্ন্যাসী বাস করতেন।নাম কেশব ভারতী। তত্ত্বজ্ঞানী
এই সন্ন্যাসী ভিক্ষান্নে জীবন ধারণ করতেন। একদিন
ভিক্ষা করতে নবদ্বীপে আসেন। এ-বাড়ি ও-বাড়ি ঘুরে মিশ্র বাড়িতে ভিক্ষার জন্য আসেন। মা শচীদেবী ও বিষ্ণুপ্রিয়া ভক্তি ভরে সন্ন্যাসীকে
অভ্যর্থনা করলেন। দুপুরে আহার গ্রহণ করে বিশ্রাম করলেন। গার্হস্থ্য আশ্রম ও সন্ন্যাসের
সম্বন্ধে নিমাই কেশব ভারতীকে কিছু জানতে চাইলেন। সেই বিষয়ে সামান্য কিছু শাস্ত্রীয়
কথা আলোচনা হল। নিমাইয়ের মনের সংকল্প মনেই রইল। মা শচী দেবীও বুঝতে পারলেন না যে, বিধাতা
তাঁর থেকে অনেক কিছু ভিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করছেন।
মায়ের মনে আঘাত
এই ঘটনার কিছু দিন পর
নিমাইয়ের মনে হল, যা কিছু তিনি করুন না কেন। যদি সংসার ত্যাগ করে চিরদিনের জন্য সন্ন্যাস
গ্রহণ করেন, সে বিষয়ে মায়ের ও পত্নীর অনুমতি প্রয়োজন। এই ভেবে কথায় কথায় মায়ের কাছে
তাঁর সন্ন্যাস গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। শোনা মাত্র শচীদেবীর অন্তরে শেল বিদ্ধ হল।
মাথায় হাত চাপড়ে বৃদ্ধা কাঁদতে লাগলেন। মায়ের দুঃখ দেখে অন্তরে খুব কষ্ট পেলেন। কিন্তু
সংকল্প থেকে সরে এলেন না। মাকে সান্ত্বনা দিয়ে, সংসারের অসারতা ইত্যাদি বলে তখনকার
মত মায়ের মন কিছুটা ঠাণ্ডা করলেন। মাকে নানা ভাবে বুঝিয়ে, জাগতিক দুঃখের পারে অনন্ত
শান্তি লাভের জন্য প্রার্থনা জানালেন।
“কে তুমি তোমার পুত্র কেবা কার বাপ।
মিছা তোর মোর করি কর
অনুতাপ”।। ( চৈতন্যমঙ্গল)
মায়ের অনুমতি
একদিকে পুত্রের মঙ্গল
আশা ও তার প্রাণের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য শচীমাতা উদ্গ্রীব হলেন। তিনি পুত্রের মনের
অবস্থা দেখে বুঝলেন যে, সংসারে বন্ধনের মধ্যে নিমায়ের থাকা খুবই কষ্টকর। তবুও মায়ের
মন চায় না পুত্রকে ছেড়ে দিতে।
কোন উপায় নেই দেখে, নিজের সুখদুঃখের কথা ভুলে মা
সন্ন্যাস গ্রহণের অনুমতি দিলেন। নিমাইয়ের মন আনন্দে ভরে উঠল। মায়ের চরণে বার বার প্রণাম
করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করল।
বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর অবস্থা
বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী তখন
পিতার বাড়িতে ছিলেন। লোকের মুখে স্বামীর সন্ন্যাস গ্রহণের সংকল্পের কথা শুনে দ্রুত নবদ্বীপে
নিজের বাড়িতে ফিরে এলেন। তিনি তখনও নিতান্ত বালিকা। মাত্র ১৪ বছর বয়স। স্বামীকে চোখের
জলে পতিপ্রাণার অন্তরের ব্যাকুলতা নিবেদন করলেন। পত্নীর অন্তরের ব্যথা উপলব্ধি করতে পারলেন নিমাই। সংকল্পে স্থির থেকে পত্নীকে নানা ভাবে বোঝালেন।
শচীদেবীর মতো বিষ্ণুপ্রিয়ার অন্তরেও বিবেক-বৈরাগের উদয় হল। স্বামীর ধর্ম পথের সহায়
হওয়াই সহধর্মীণীর কর্তব্য।
নিজের সুখের আশায় পতির ইষ্টলাভের পথে বাধা তিনি হতে চান
না। কিন্তু বৃদ্ধা শাশুড়ীর কথা ভেবে তিনি স্বামীকে অনুরোধ করেন, যত দিন জননী জীবিত
থাকেন ততদিন যেন তিনি গৃহে থাকেন। জননী যে সন্ন্যাসে অনুমতি দিয়েছেন এ কথা নিমাই জানালেন।
তখন বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর বিস্ময়ের আর সীমা রইল না। এমন মায়ের এমনই তো ছেলে! পত্নীর এক
রকম সম্মতি পেয়ে নিমায়ের মন প্রফুল্ল হয়ে উঠল। এর পর যে ক'দিন সংসারে ছিলেন পত্নীকে
সংসারের অনিত্যতা ও ঈশ্বর সাধনার উপযুক্ত উপদেশ দান করলে লাগলেন।
সংকীর্তনের দলের ভক্তদের
মধ্যেও রটে গেল সন্ন্যাসের কথা। তাঁরাও কাতর ভাবে সন্ন্যাস না গ্রহণের জন্য বার বার
প্রার্থনা জানালো। মা শচীদেবীও আরও কিছু দিন গৃহে থাকতে বললেন। নিমাই এখন ভক্তদের নিয়ে
সংকীর্তনে যান ও গৃহে থাকেন। কিছু কাল গৃহে থেকে সুযোগের প্রতীক্ষা করতে থাকলেন। তাই
এসময় অন্তরে গৃহ ত্যাগের জন্য ব্যাকুলতা বাড়লেও, বাইরে আগের মতোই ভক্তদের সঙ্গে আনন্দে
মেতে রইলেন।
গৃহত্যাগের অপেক্ষা
মা ও পত্নী অনুমতি দিলেও,
বিদায়ের সময় যে তাঁদের অন্তরে নিদারুণ আঘাত লাগবে নিমাই তা বুঝতেন।শোকের বেগ সহ্য করতে
না পেরে যে মর্মন্তুদ দৃশ্যের সৃষ্টি হবে, তার ফলে যদি তাঁর মনে দুর্বলতা আসে! তা ছাড়া
ভক্তরাও রয়েছেন। তাই নিমাই স্থির করলেন সকলের অগোচরে, গোপনে গৃহত্যাগ করতে হবে। আর
এ ভাবেই তো মানুষ গোপনে গৃহত্যাগী হন। গৌতম বুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কে কবে
সবাইকে জানিয়ে ঘর- সংসার ছেড়েছে? নিমাইয়ের বয়স চব্বিশ পূর্ণ হতে চলল। যে বয়সে মহামায়া
জীবকে বন্ধনে আবদ্ধ করে, সংসারে একে বারে ডুবিয়ে দেয়, সেই বয়সে মহামায়া পথা ছেড়ে দিলেন।
নিমাই শুভ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলেন। এই সময় একদিন পত্নীকে দীক্ষামন্ত্র
দান করেছিলেন বলে জানা যায়।
গৃহত্যাগ রাত পোহালে সংক্রান্তি,
শুভ দিন। গভীর রাতে নিমাই ঘরের বাইরে এলেন। মা শচীদেবী তখন ঘুমিয়ে রয়েছেন। মায়ের উদ্দেশ্যে বার
বার সাষ্টাঙ্গ প্রণাম নিবেদন করলেন। মায়ের
শয়ন ঘরের কাছে গেলেন। মনে মনে প্রদক্ষিণ করলেন জননীকে। নিজের এই অপরাধের জন্য ক্ষমা
চেয়ে বিদায় নিলেন।
গৃহদেবতা রঘুনাথের মন্দিরের
দরজার সামনে প্রণাম করে সন্ন্যাসের অনুমতি ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করলেন। জননী ও পত্নীর
রক্ষার ভার গৃহদেবতার উপর দিয়ে হাত জোড় করে মন্দির প্রদক্ষিণ করলেন।
খুব সাবধানে সবার উদ্দেশ্যে
প্রণাম জানিয়ে দৌড়ে বাইরে রাস্তায় বেরিয়ে এলেন।
সহায় সম্বলহীন, কেবল পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নেই। মুখে শ্রীভগবানের মধুর নাম।
শীতের
রাত কোন দিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। সাঁতার দিয়ে গঙ্গা
পার হলেন। ভিজে কাপড়ে দৌড়তে দৌড়তে হাজির হলেন কাটোয়ায়। তখন ভোর হয় হয়। উপস্থিত হলেন
শ্রীমৎ স্বামী কেশব ভারতী মহারাজের আশ্রমে।
-ক্রমশঃ
https://www.blogger.com/u/1/blog/post/edit/6107766662397436021/4935434511674721319 -
খুব ভালো লাগলো শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর কথা জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো আপনার কাছে কত আবদার এর কথা জানতে পারছি জীবন টা বৃথা হয়ে যেত যদি না আপনার শ্রী চরণে ঠাঁই পেতাম আপনি আমাদের অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসছেন আমরা ধন্য প্রণাম শিক্ষা গুরুদেব শিখা মন্ডল ব জ ব জ
ReplyDeleteআরও পড়তে চাই-----প্রণাম
Deleteখুব ভাল লাগল। প্রণাম জানাই শ্রদ্ধেয় মহারাজ কে।
Deleteখুব ভাল লাগল। অনেক কিছু জানতেপারলাম। প্রণাম। 🙏🙏🙏
Deleteসমৃদ্ধ হলাম মহারাজ। সশ্রদ্ধ প্রণাম🙏
Deleteখুব ভালো লাগলো।প্রনাম নেবেন 🙏🙏
Deleteমহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য দেবের কথা জানতে পেরে খুবই উপকৃত হলাম আরও জানতে চাই
Deleteপূজনীয় মহারাজ,
Deleteঅসাধারণ লাগল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বিবরণ।
যদিও আরও কিছুটা ক্রমশঃ পর্যায়ে পড়ব।
মন ভরে গেল।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। খুব ভালো থাকবেন দিব্যত্রয়ীর আলোতে। আন্তরিক প্রীতি ও প্রণাম নেবেন।🌹🌹🌹🌹🌹
নন্দিতা ব্যানার্জী। যাদবপুর।
খুব ভাল লাগছে । আরো জানার আশায় রইলাম ।প্রণাম মহারাজ।
DeletePujonio Maharajji Sri Chaitanya
DeleteDev er katha pore onek ajana
Katha jante parlam. Apnake
Sashrodhho pronam janai.🙏
Joy SriKrishna Chaitanya. Lekha pore mon anande bhore galo.Parobarti lekhar open khai railum.
ReplyDeletePranum Maharaj 🙏
খুব ভালো লাগলো মহারাজ।
Deleteপ্রনাম মহারাজ। অনেক অনেক ধন্যবাদ বহু অজানা কথা জেনে খুব খুব ভালো লাগলো।
Deleteখুব ভাল লাগল
Delete🙏🏼👣🙏🏼
ReplyDeleteখুবভালো লাগলো।আরও জানতে চাই।প্রণাম
Deleteখুব ভালো লাগলো ।🙏🙏 প্রনাম মহারাজ। আপনাকে কাছে পেয়ে আমারা অনেক ধন্য হলাম। খুব খুব ভালো থাকবেন ❤️❤️
ReplyDeleteKhub valo laglo maharaj,
ReplyDeleteপ্রতি রবিবার আশায় থাকি আপনার "আত্মজ্যোতি"ব্লগ পড়ার জন্য।খুব ভাল লাগল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূর কথা জানতে পেরে।সশ্রদ্ধ প্রণাম নেবেন।ভাল থাকবেন।🙏🙏🙏🙏 মধুমিতা মুখার্জী দক্ষিনেশ্বর।
ReplyDeleteপ্রণাম মহারাজ ।কত কিছু জানতে পারলাম খুব ভালো লাগলো। আপনার কাছে আমরা সবাই কৃতজ্ঞ । ভালো থাকবেন
ReplyDeleteBasanti Chatterjee Shibpur kasundia Howrah...Pronam Maharaj..ami ved vedanto Gita uponishod esob pora ba sekha kichui hoto na..jodi lockdown er somoi apnar songe yukto na hotam..ami akhon mone khub anondo pai sudhu apnake peyachi..dhonyo holo amar jibon..ai rokom dharmyogyo guru acharjyer pdotole aktu asroy peyechi..apni amar akmatro isthyo guru..protidin meditation er somoi isthyo guru ke pronam mone mone apnakei kori..apni e amar akmatro, "Guru"..apni amaker je vabe adhyatmik jogote niye jaben ami sei vabei jete chai..kripa korun Maharaj amake..ami bakul hoye thai apnar dorshon,srobon,moner jonnyo..kripa korun gurudeb..pronam Maharaj.
ReplyDeleteআন্তরিক ভক্তিপূর্ণ প্রণাম নেবেন মহারাজ, আপনার প্রতিটি লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে মহারাজ, অপূর্ব
ReplyDelete🙏🙏🌷🌷🙏🙏
স্বস্তিকা রায়
খুব ভাল লাগছে, পরবর্তী ঘটনা জানতে চাই
Deleteঅসিত চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর
প্রণাম মহারাজ 🙏🙏🙏
Deleteনিরলস প্রচেষ্টায় যেভাবে আপনি আমাদেরকে আঅ্যাত্মিকতায় উত্তরণের পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, তা নজিরবিহীন!! আপনি ঠাকুর মা ও স্বামীজী র আশীর্বাদপুষ্ট ও কৃপাধন্য 🙏🙏🙏খুব খুব ভালো থাকুন মহারাজ, আনন্দে জ্ঞান বিতরণ করে যান....….🙏🌺🙏🌺🙏🌺
আপনি আমার ভক্তি পূর্ণ প্রনাম নেবেন মহারাজ। আপনার কাছে এত কিছু জেনে খুব ভাল লাগছে
ReplyDeleteপ্রণাম মহারাজ, খুব ভালো লাগলো, অপেক্ষায় থাকলাম রবি বারের জন্ম,
ReplyDeleteখুব ভাল লাগলো।অনেক অজানা তথ্য এত প্রাঞ্জল ভাষায় পরিবেশনা বিশেষ প্রসংশার দাবি রাখে।প্রণাম।
ReplyDeleteআজকে আবার চমৎকার এবং খুবই পছন্দের লেখা পেয়ে ধন্য হলাম । আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম 🙏
ReplyDeleteসশ্রদ্ধ প্রণাম নেবেন মহারাজ। শ্রীচৈতন্যের সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। আরো জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDeleteSadhana Sharma from panchala moharaji apnar Atmajyoti porlam mohaprovu r khata,khub valo laglo,agamidine aro sundor lekha porte chai ,valo thakben antorik sashroddo pronam neben amar.
ReplyDeleteমহারাজ খুব ভাল লাগল।এভাবে নিজেদেরা অপ্নর্কৃপায
DeleteKhub valo lagche maharaj,sansar jibone theke o amra ektu sadhan bahon korchi apnar anudhyan e ese.pronam neben
Deleteখুবই ভাল লাগলো ছোটআকারে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ReplyDeleteসুব্রত ঘোষাল মুম্বাই
Pranam Prabhuji, Bhaktir Abatar Sri Chaitannya, pare bhalo laglo, khubi susangbadha bhabe lekha, parer angsha janar agraha baralo. Prabhu Sri Chaitannya dev Srimat Swami Iswarpurir kache Krishna mantre dikkha niyechilen, tar parer angsha janar ichha railo. Antorik sradhya o kritagyata janai.🌷🙏🏻🌷
ReplyDeleteKhub valo laglo Maharaj. Chokher samne lekhagulo jeno drisya pote dekhte pacchi lum. Apurba apnar lekhani. Apnar Sri charane sata sata vakti. Sraddha nibedan kari 🙏🌷
ReplyDelete💐💐💐💐🙏🙏🙏🙏🙏অপূর্ব অসাধারণ
ReplyDeleteআভূমি লুন্ঠিত অনন্ত কোটি ভূমিষ্ঠ প্রণাম নিবেদন করি পুন্যত্রয়ীর শ্রীপাদপদ্মে ও আচার্য্য দেবের শ্রী চরণে 🙏❤️🙏। সত্যি কথা বলতে আপনার সাহচর্যে ও ভগবানের কৃপায় অনেক অনেক অজানা অব্যক্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি মহারাজ জী।এই আত্মজ্যোতি আমাদের আধ্যাত্মিক চেতনা জাগ্রত করতে অবশ্যই সাহায্য করবে 🙏♥️🙏♥️ জয় পুন্যত্রয়ী ♥️ জয় আচার্য্য দেব ❤️
ReplyDeleteপ্রণাম আচার্য্য দেব 🙏🙏🙏। নবদ্বীপ মানেই শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু। বাল্যকালের লিলা ও অনেক কিছু অবগত হলাম৷। আপণার মধ্যেমে আমরা নিজেদেরকে অনেক বেশি ধন্য মনে করি। 🙏🙏🙏
ReplyDeleteদারুন লাগছে অনেক কিছু জানতে পারলাম প্রণাম নেবেন মহারাজ ভাল থাকবেন . 🙏🙏🙏
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো। মহারাজকে জানাই প্রণাম
ReplyDeleteKhoob bhalo laglo
Deleteখুব ভাল লাগল মহারাজ ভক্তির অবতার শ্রী চৈতন্য পড়লাম, পরের অংশ পড়ার অপেক্ষা য় রইলাম ,মহারাজ এসব খাবার দাবার না পেলে ,কি নিয়ে থাকতাম, আগে অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি আর নয় ,আমার অসংখ্য অসংখ্য প্রণাম গ্রহণ করবেন মহারাজ, ঈশ্বরের কাছে আপনার সুস্থতা কামনা করি মঞ্জুলা দাস ,দুবাই ।
ReplyDeleteপ্ৰণাম মহারাজ।খুব ভালো লাগলো।
ReplyDeleteমলি পাল।
অসাধারণ খুব খুব সুন্দর হয়েছে দারুণ। 👍🙏🙏
ReplyDeletePranam maharajji...mahaprabhu
ReplyDeletesree chaitanya debe....samndhe ajker lekha pore..khub bhalo
laglo...aro janar apekhay...🙏
শ্রী চৈতন্য দেবের জিবনীর ব্যাখ্যা খুব সুন্দর লাগলো। আমরা সবাই আপনার সানিগ্ধে আসার পর থেকে এক আশ্চর্য আনন্দের সন্ধান পেয়েছি। আপনার মত একজন আর্চায্যর সহর্চয্যতা ঠাকুরের অশেষ করুনার জন্যই সম্ভব হয়েছে।আধ্যত্মিকতার হাতেখড়ি আপনার কাছেই। আপনি সুস্থ থাকুর ঠাকুরের কাছে এই প্রার্থনা করছি। এই ধারাবাহিক আরও নেশাগ্রস্থ করবে মনে হচ্ছে।প্রনাম নেবেন মহারাজ জী।
ReplyDeleteপরবর্তী অংশের জন্য অধীর আগ্রহে থাকলাম মহারাজ --- মুনমুন রায় হাওড়া ।।ভীষণ ভালো লাগল
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো।প্রতি রবিবার আশায় থাকি।মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। প্রণাম মহারাজ। রীতা নাগ,দক্ষিনেশ্বর।
ReplyDeleteMaharaj Chaitanya mahaprabhu r jibani niye apni eto sundar likhechen pore ami khub samriddha holum. Porer ongsher jonno opekhay roilum. Maharaj apner sannidhya ese nijeke onek adhyatik pothe unnoto mone hoy. Tobe sobi thakurer kripa chara hoy na. 🙏🙏🙏🙏Ranjita Mazumder, New Delhi
ReplyDeleteধারাবাহিক ভাবে পড়বো 'মহাপ্রভূ ' র কথা 🙏🏻 অনন্ত শ্রদ্ধা ও প্রণাম মহারাজ কে🙏🏻
ReplyDeleteকৃষ্ণা মুখার্জী , হাওড়া
ভিষন ই সুন্দর ❤️ উপস্থাপনা। লেখক কে শ্রদ্ধা সহকারে প্রনাম জানাই।
ReplyDeleteধারাবাহিক ভাবে পরতে পারবো।🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏দ্বীপান্বিতা।
প্রথমে শ্রী আচার্য দেবের শ্রীচরণকমলে নতমস্তকে ভুলুন্ঠিত আভুমি প্রনাম জানাই।যতদিন যাচ্ছে আপনি আমাদের মনের চাহিদা বারিয়ে দিচ্ছেন। শ্রীচৈতন্য দেবের জীবন কথা তার শিক্ষা দীক্ষা গুরু প্রাপ্তি ছোটবেলায় সমস্ত কাহিনী এতো সুন্দর আর সাবলীল লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম।
ReplyDeleteপরবর্তী লেখা পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম 🙏🙏
জয় ঠাকুর মা স্বামীজি জয় মহারাজ জয় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু 🙏🙏🙏
আপনি সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এই প্রর্থনা করি ঈশ্বরের কাছে 🙏🙏🙏
জয় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পূর্ণ ব্রহ্ম নারায়ণ 🙏🌷🙏🌷🙏🌷
দেবশ্রী বিশ্বাস বহরমপুর থেকে 🙏
প্রণাম মহারাজ। এই লেখার কিছুটা অনুধ্যান এ বলেছিলেন। আরও জানব এই আনন্দে রইলাম।
ReplyDeleteমহারাজ আপনার চরনে আভূমি লুন্ঠিত শতকোটি প্রনাম নেবেন 🙏🏻 এতো সুন্দর লেখা পড়ে অভিভূত জীবনের শেখার প্রয়োজন অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছি।আধ্যাত্তিক আলোচনা অনুধ্যানে শুনেছি আবার কত সুন্দর ভাবে লিখছেন ঠাকুর মা স্বামীজীর কৃপায় আপনাকে আমরা পেয়েছি অনেক কিছু শিখেছি ঠাকুরমা স্বামীজীর চরণে আভূমি লুন্ঠিত শতকোটি প্রনাম 🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻
ReplyDeletePranam Prabhuji, Sri Chitannya Mahaprabhu r jiban gatha sune mon bhare gelo. Bismrita pray anek kath natun kore jana holo, Hari namer mahatya amader mugdha korlo.
DeleteSradhya o kritagyata janai.
Apnar sishya.🌷🙏🏻🌷
শ্রী চৈতন্য দেবের সমন্ধে পড়তে খুব ভালো লাগছে...অনেক বিষয় জানলাম..অনেক ভুলে যাওয়া তথ্য মনে পড়ে গেল। পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম। আপনি আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম নেবেন.. ভালো থাকবেন মহারাজ।
ReplyDeleteরীতা দত্ত, খড়গপুর।
খুব সুন্দর লাগলো মহারাজ লেখাটি পড়ে, আপনার প্রতিটি লেখা খুবই ভালো লাগে পড়তে।প্রণাম নেবেন মহারাজ ।
ReplyDeleteসুব্রত রায়, হাওড়া
আমার ভক্তীপূর্ণ প্রণাম নেবেন মহারাজ। 'ভক্তীর অবতার শ্রীচৈতন্য' লেখাটি খুবই ভাল লাগল। অনেক কিছু জানলাম।
ReplyDeleteপরবর্তী অংশটি র অপেক্ষায় রইলাম।
সুব্রত মুখার্জ্জী
গড়িয়া
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন কথা পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি আমাদের নানা ভাবে আধ্যাত্মিক পথে অগ্রসর করাছেন ।প্রনাম মহারাজ 🙏🙏🙏 ভালো ও সুস্থ থাকুন।
ReplyDeleteরেখা সামন্ত, কাটোয়া
খুব ভালো লাগল মহারাজ ।ATMAJYOTI র লেখা থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি ।
ReplyDeleteSubhra Ghosh
ReplyDelete15August 2o22
Bulu Mukherjee Alipore 🙏🏻🙏🏻🙏🏻আজ স্বাধীনতা দিবসে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই, মহারাজ।বহু পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করে যে তথ্য সমৃদ্ধ ব্লগ প্রকাশ করছেন আমাদের জন্য তার মূল্য অপরিসীম।শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনপ্রবাহ আপনার লেখনীর মাধ্যমে আমরা অবগত হচ্ছি। সকলের কাছে তো এই সম্পর্কিত বই থাকে না।তাই অনেক কিছুই আমাদের অজানা থেকে যায়। খব উপকৃত হচ্ছি আমরা। পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম। কৃতজ্ঞচিত্তে প্রণাম জানাই মহারাজ ঠাকুর মা ও স্বামীজি আপনাকে সুস্থ রাখুন।🇮🇳🙏🙏🙏🇮🇳
ReplyDeleteখুব ভালো লাগছে। পরর্বতী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। সশ্রদ্ধ প্রণাম গ্ৰহণ করুন।
ReplyDeletePronam Maharaj. Khub bhalo laglo pore. Anoke kichu jante parchi.
ReplyDeleteআচার্যদেব ,ভক্তিপূর্ণ প্রণাম নেবেন । আপনার অগাধ পান্ডিত্য সব বিষয়ে তাই এত সহজ করে আপনি আমাদের কাছে প্রতিটি লেখা বোঝার সুবিধার জন্য লিখে পাঠান । এই লেখাটি মনে হয় সবম্পূর্ণ হয়নি ।বাকিটা আপনি লিখলে আবার পড়ে নেব । ভীষণ ভালো লেগেছে শ্রীচৈতন্যদেবের কথা। অপূর্ব ।
ReplyDeleteপ্রণাম মহারাজ, আপর জন্য অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ 🙏🙏!ভালো থাকবেন।
ReplyDeleteপ্রণাম মহারাজ। খুব ভালো লাগছে। অনেক তথ্য জানতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।
ReplyDeleteKrishna Biswas Hyderabad
ReplyDeleteBlog pore khub bhalo laglo.Kramasho
arthat porer porber apekhayai adhir agroher anubhuti antar theke anubhab korlam etai bojhai amra apnar agadh panditye ki aparishim upokrito.Pronam neben Maharaj. Apni sustho o bhalo thakben ei prarthana Thakurer kachhe.
মহাপ্রভুর অপূর্ব জীবন কাহিনী আপনার লেখায় প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে।খুব ভালো লাগলো মহারাজ।মহাপ্রভুর চরনে আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম জানাই।🌷🌷🌷
ReplyDeleteপ্রনাম মহারাজ।💐
প্রণাম মহারাজ। মহাপ্রভু চৈতন্য দেবের সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা ছিল ।জানতে পারলাম ও আরও অনেক কিছু জানতে পারব।
ReplyDeleteProñam Maharaj 🙏. Khub bhalo laglo
ReplyDeleteMaharajer chorone pronam. Ami ei group e achi jene Shanti pelam. Joy Thakur
ReplyDeleteমহারাজ প্ননাম নেবেন।মহাপ্রভুর জীবনি কথা জানতে পেরেখুব উপকৃত হলাম।
ReplyDeleteঅসাধারণ লেখা। সোজা ভাষায় বড় সুন্দর লেখা বাকিটুকু প রার আশায় রইলাম প্রণাম অন্তে শিউলি রায় রানীগঞ্জ।
ReplyDeleteDhonno holam Maharaj...kotodin age porechilam...apner kripay abar sob mone oore gali ...
ReplyDeleteঅপূর্ব... নিমাই পন্ডিত থেকে ক্রমশ ভগবান শ্রীচৈতন্য হয়ে ওঠা আপনার কলমে দেখতে পাবো .. এবং অনুভব হৃদয়ের মধ্যে মহাপ্রভুর ঈশ্বরত্ব.. ধন্য হব ..
ReplyDeleteজয়ীতা সরকার, সোদপুর, কলকাতা
অনেক অজানা বিষয় জানতে পারছি।প্রণাম মহারাজ। আগরতলা থেকে,শঙ্করী চক্রবর্তী।
ReplyDeletelপরবর্তী লেখার অধীর অপেক্ষায় রইলাম মহারাজ, প্রনাম নেবেন।
ReplyDeleteসুমিতা চক্রবর্তী
প্রনাম নেবেন মহারাজ জী . খুব ভালোে লাগলো অপেক্ষা করব পরের টা পড়ার জন্য . প্রনাম
ReplyDeleteরুনা পালিত
ReplyDeleteKhub valo laglo Maharaj🙏🏻🙏🏻
ReplyDeleteSovakti pranam Achariyo Maharajji 🙏🙏. Vakti r Avtar Shree Chaitanyo Mahaprabhu r lekhoni porey khubei valo legechey. Nimai Shreemat Ishorpuriji kachey Krishna Mantrey dikshito hon. Osadhron Gyandarshan siksha prapti hochhey, Marajji🙏🙏.
ReplyDeleteParbati Banerjee
Sovakti pranam Achariyo Maharajji 🙏🙏. Vakti r Avtar Shree Chaitanyo Mahaprabhu r lekhoni porey khubei valo legechey. Nimai Shreemat Ishorpuriji kachey Krishna Mantrey dikshito hon. Osadhron Gyandarshan siksha prapti hochhey, Marajji🙏🙏
ReplyDeletePronam Thakur,pronam Moharaj.
ReplyDeleteমহাপ্রভু র কথা পড়ে খুব ভালো লাগলো।মহাপ্রভু র শ্রী চরণে প্রণাম জানাই।প্রণাম মহারাজ।
ReplyDeleteমহাপ্রভুর কথা পড়ে খুব ভাল লাগল। পরের অংশ জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। প্রণাম মহারাজ। লিলি রায়, পর্ণশ্রী।
ReplyDeleteপ্রণাম মহারাজ ,আপনার সব গুলো লেখা পরে খুব ভালো লাগছে।
ReplyDelete🙏🙏🙏
ReplyDeletePronam janai 🙏🙏
Deleteখুব সুন্দর কথা গুলো বলেছেন মহারাজ, আপনার জন্য আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি 🙏
ReplyDelete,প্রণাম মহারাজ। আপনার লেখা শ্রী চৈতন্য দেবের জীবন কাহিনী পড়ে খুব ভাল লাগল। আপনার জন্য আজ আমরা সকলে অনেক মহাপুরুষ,অবতার দের জীবন কাহিনী জানতে পারছি।আপনি ধন্য।অনেক পরিশ্রম করে আমাদের সমৃদ্ধ করছেন। ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
ReplyDeleteজয় মহাপ্রভুর জয়। প্রণাম মহারাজ জি ।🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🌺🌺🌷🙏🇮🇳🇮🇳🇮🇳🌸🌸🪔
ReplyDeleteপ্রনাম মহারাজ। অনুধ্যান কিছু বলেছিলেন আরো জানলাম আগামীতে আরো জানবো ভেবে ভালো লাগছে
ReplyDeleteVery nice. Pranam Maharaj 🙏 🙏
ReplyDeleteঅনেক বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছি এই লেখা পড়ে।সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই মহারাজ। আশীর্বাদ করবেন যেনো আধ্যাত্মিকতার রাস্তায় রাতে এগিয়ে যেতে পারি।
ReplyDeletePronam moharaj🙏🏼
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল এমন মহাপুরুষের জীবনী পাঠে, পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষায় থাকব।
ReplyDeleteমহারাজকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।
🙏🙏 খুব ভালো লাগলো পড়ে, অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সম্বন্ধে কিছু জানলেও সব জানা ছিল না।আরো জানতে চাই মহারাজের কাছ থেকে ।আমরা খুব ভাগ্যবান, যে ঠিক সময় আমরা মহারাজের সান্নিধ্য লাভ করতে পারছি।ভালো থাকবেন মহারাজ ।প্রণাম মহারাজের শ্রী চরণে ।
ReplyDeleteপ্রণাম আচার্য্যদেব।ভক্তির অবতার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সম্বন্ধে এই উপস্থাপনা খুবই ভালো লাগলো। পরবর্তীর অপেক্ষায় রইলাম। প্রতি রবিবার আত্মজ্যোতিরএই নিবেদন আমাদের প্রকৃত অর্থেই অনেক অজানা তথ্য জানিয়ে সমৃদ্ধ করছে। মায়ের কৃপায় এ সবই সম্ভব হচ্ছে। আপনি ভালো থাকুন-মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি।
ReplyDeleteমালবিকা সেনগুপ্ত।বাঘাযতীন,কলকাতা।
Khub valo laglo. Anek kichhu jante parlam
Deleteঅসাধারণ লেখা আমার আচার্য দেবের ভক্তির অবতার শ্রীচৈতন্য দেবের জীবনীর কথা পড়ে মন আনন্দে পূর্ণ হয়ে গেল। পরবর্তী পর্বে র জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষাযরহিলাম ।প্রনাম গ্রহন করুন আচার্য দেব।
ReplyDelete্
আমার প্রণাম নেবেন মহারাজ,এগুলো পরে অনেক কিছু জানতে পারছি,পড়ে মন ভরে যায়,পরের লেখার জন্য অধীর আগ্রহে রইলাম।
ReplyDeleteজয় নিমাই পন্ডিতের জয়,খুব সুন্দর লেখাটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম, এর পর কি হলো,জানার আগ্রহ রইল। পরম শ্রদ্ধেয় লেখক আচার্য দেবকে অবনত মস্তকে প্রণাম জানাই। জয় ঠাকুর।
ReplyDeleteঅপূর্ব লাগছে শ্রী চৈতন্য দেবের লীলা কথা।প্রনাম মহারাজ জী। 🙏🙏।
ReplyDeleteভক্ত সম্মেলন আগে ফেইসবুকে লাইভ দেখতে পারতাম, এখন কোথায় লাইভ দেখতে পাওয়া যাবে জানালে উপকৃত হব।
ReplyDeleteApnar lekha y mohaprobhur kotha shunte peya khub valo laglo, aro anek kichhu jante chai
ReplyDeletePronam moharaj 🙏🏼
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো🙏🙏
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো মহারাজ
ReplyDeleteখুব ভালো লাগছে মহারাজ
ReplyDeleteপ্রণাম মহারাজ। চৈতন্য দেবের পরবর্তী অংশ টি পেলাম না তো।
ReplyDeleteপ্রনাম আচার্য দেব 🙏🙏🙏 পরবর্তী অংশ টি পরে আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম আগে বই পড়ে মা জেনে ছিলাম তার থেকে 🙏🙏 আপনার অতি চমৎকার লেখনীর মাধ্যমে সুন্দর ভাবে প্রকাশিত হয়েছে 🙏🙏 অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মহারাজ 🙏🙏🙏 জয় ঠাকুর মা স্বামীজি জয় মহারাজ 🙏🙏🙏 শুভ সকাল 🌻🍁 ভালো থাকবেন মহারাজ 🙏🙏
ReplyDeleteদেবশ্রী বিশ্বাস বহরমপুর থেকে 🙏🌷🙏
খুব ভাল লাগল মহারাজ। নিমাই সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম। এতটা জানতাম না।যবন হরিদাস সম্পর্কেও অনেক কিছুই জানলাম। প্রণাম মহারাজ।
ReplyDeleteপ্রনাম মহারাজ। মহাপ্রভুর সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পারলাম ।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো। প্রণাম মহারাজ।
ReplyDeleteশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর অপূর্ব জীবন কথা আপনার লিখুন শৈলিতে যেন অম্রিতময় হয়ে উঠেছে। আপনাকে প্রণাম।
ReplyDeleteপ্রণাম মহারাজ। পড়ছি জানছি অপূর্ব সুন্দর অনুভূতি হচ্ছে।আপনার জ্ঞান সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি।কত বিষয় জানতে পারছি।আমি কৃতজ্ঞ।
ReplyDelete' মহাপ্রভূ ' র জীবনী এমন বিস্তারিত ভাবে পড়া হয় নি 🙏🏻 মহারাজের অপূর্ব লেখনীর মাধ্যমে আমাদের কাছে ধরা দিচ্ছেন 'ভগবান' 🙏🏻
ReplyDeleteবিনম্র শ্রদ্ধায় অসংখ্য প্রণাম মহারাজ 🙏🏻
কৃষ্ণা মুখার্জী , হাওড়া
আপনার লেখাই অমৃত আছে। আবার নতুন করে জানলাম ও পরলাম। অসম্ভব সুন্দর লেখা। আপনার লেখার মাধ্যমে,যেন সব দৃশ্য দেখতে পেলাম।
ReplyDeleteভালো থাকবেন 🙏🏻 সুস্থ থাকবেন সবসময়। আমার ভক্তিপূন প্রনাম নেবেন 🙏🙏🙏🙏🙏,দ্বীপান্বিতা।
অপূর্ব মহারাজ, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কথা এত বিস্তারিত ভাবে জানা ছিল না, পড়ে অনেক কিছু জানলাম, আরও জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDeleteআমার ভক্তিপূর্ণ প্রনাম নেবেন মহারাজ জী
🙏🙏🙏🙏🙏
আপনার লেখায় কাহিনীটি প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে।খুব ভালো লাগছে।প্রভু নিত্যানন্দের কথা জানতাম না।কতো অজানাকে জানালেন ।
ReplyDeleteপ্রনাম মহাপ্রভু।প্রনাম প্রভু নিত্যানন্দ।
প্রনাম মহারাজ।👏
Basanti Chatterjee Shibpur kasundia Howrah...Haridas thakur theke Jobon Haridas apurbo laglo..pronam Maharaj.
ReplyDeleteঅসাধারণ রচনাশৈলী ।নিত্যানন্দ সম্বন্ধে জানতাম না ।আপনার জন্য আমরা কত কিছু জানতে পেরে সমৃদ্ধ হচ্ছি। আগামী রবিবারের অপেক্ষায় রইলাম। আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম নেবেন। ভালো থাকবেন।
ReplyDeleteKhub valo laglo
ReplyDeleteVaktivora pranam grohon korun Achariyo Maharajji 🌺🌺🙏🏻🙏🏻. Nimai o Nitai holen Swang Vagaban. Vaktir madhoyomey kibhabey Ishor ke pawa jei ter ek opurbo nidorsan Swarup holen Onara 🙏🏻. Ar Amader Achariyo Maharajji ei dhora te esechen amader modhey Gyan siksha ditey. Tei eto sundor Bani amra jantey parchi o Vakti r dwara je Swang Ishor ke darshan o onubhob kora jei, ta siksha prapti kortey parchi, Maharajji 🌻🌻🙏🏻🙏🏻. Sotokoti vaktivora naman, Achariyo Maharajji 🌻🌻🙏🏻🙏🏻. Next aro janer asha te opeksharoto🙏🏻🙏🏻
ReplyDeleteঅনেক কিছু জানতে জানলাম। ভালো লাগছে এত সবকিছু জানতে পেরে।সশ্রদ্ধ প্রনাম মহারাজ 🙏🏻🙏🏻
ReplyDeleteআরও জানার ক্ষুধা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আপনার নিরলস পরিশ্রমের কাছি নতমস্তক। ঠাকুরের কাছে সব সময় আপনার সুস্থ জিবনের প্রর্থনা করি। আপনাকে ভুলুন্ঠিত প্রনাম জানাই।
ReplyDeleteঅপূর্ব অপূর্ব এত এত ভালো লাগলো যে বলে বোঝাতে পারবো না নিমাই থেকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কিভাবে হবে জানার আগ্রহ যেন বেড়েই চলেছে এত ভালো লাগলো বলে এইজন্যেই ঠাকুর বলেছে সাধু সঙ্গ করতে আপনার কাছে এসে আমরা অনেক আধ্যাত্মিক পথে এগোতে পারছি আমরা খুব উপকৃত হচ্ছি, আপনার শ্রী চরণে সব আপনার শ্রী চরণে শতকোটি প্রণাম শিখা মন্ডল বজবজ।
ReplyDeleteমন ভরে যাচ্ছে । আর জানতে ইচ্ছা হয় ।
ReplyDeleteKhub valo lagche Maharaj. 🙏🙏🙏🙏
ReplyDeleteখুব ভাল লাগল মহারাজ, আমাদের জানার ইচ্ছা আরও বেড়েই যাচ্ছে ,পরের অংশ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম, আমার অজস্র প্রণাম নেবেন মহারাজ মঞ্জুলা দাস দুবাই
ReplyDeleteShree chaitanya dever jibani jene bhalo lagchhe. Er pparaborti ankshajanar apekshyay achhi. Krishnadey, jamshedpur.
ReplyDeleteমহারাজ প্ননাম নেবেন।খুব ভালো লাগলোমহাপুরুষের জীবনি পড়ে।অপেক্ষা য় থাকলাম নূতন কিছু জানার জন্য
ReplyDeleteমহারাজ প্রণাম নেবেন। পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় থাকলাম। মহাপুরুষ এর জীবনী পড়তে খুব ভালো লাগলো।
ReplyDeleteখুব ভাল লাগল। অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। আরও জানার অপেক্ষায় রইলাম। প্রণাম মহারাজ।
ReplyDeleteলিলি রায় , পর্ণশ্রী
খুব খুব ভালো লাগছে, আপনি খুব ভালো থাকবেন,🙏🙏 প্রনাম মহারাজ ❤️❤️
ReplyDeleteঅধীর অপেক্ষা পরবর্তী লেখার মহারাজজী, খুবই ভালো লাগছে 🙏
ReplyDeleteভক্তিপূর্ণ প্রনাম মহারাজজী🙏
সুমিতা চক্রবর্তী, রামপুরহাট
" ভক্তির অবতার শ্রীচৈতন্য "দ্বিতীয় অংশ পড়ে খুব ভালো লাগলো, অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরে খুব আনন্দিত হলাম। কি অসাধারণ ও সরল ভাষায় লেখা আচার্য দেবের।প্রনাম গ্রহন করুন আচার্য দেব। অপর্না দেওয়ানজী, সুভাষ গ্রাম।
Deleteপরবর্তী পর্বে র জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবো আচার্য দেব। অসাধারণ লাগলো। অপর্না দেওয়ানজী, সুভাষ গ্রাম।।
ReplyDeleteChaitanya dev er jiboni pore khub bhalo lago,pranam neben maharaj ji.
ReplyDeletePranam Maharaj 🙏 🙏
ReplyDeleteVery nice. Pranam Maharaj 🙏 🙏
ReplyDeletePulakesh Sinha Roy
ReplyDeleteVery nice. Pranam Maharaj 🙏 🙏
মহারাজ আপনার কৃপায় আমরা ধন্য! আপনি কত রকম ভাবে আমাদের সাহায্য করছেন! খুবই ভালো লাগছে মহারাজ! আপনার চরণে ভক্তি শ্রদ্ধা পূর্ণ প্রণাম নিবেদন করছি মহারাজ!
ReplyDeleteSri Chaitanya mahaprabu r 2nd part pare khub valo laglo Maharaj. Anek na jana bisoy jante parlum. Apnar Sri charane sata sata vakti nibedan kari🙏🙏
ReplyDeleteমহাপ্রভুর পবিত্র জীবনী আপনার লেখনীতে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তৃতীয় ভাগের জন্য অপেক্ষায় আছি। সশ্রদ্ধ প্রণাম মহারাজ।
ReplyDeletePore bhalo laglo maharaj.. Ruma sen gupta
ReplyDeleteমহাপ্রভুর সুন্দর জীবনি পড়ে অনেক কিছু আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম। প্রণাম মহারাজ 🙏🙏🙏।
ReplyDeleteঅপূর্ব। নেক্সট নাম্বার ৩ পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম আচার্য দেব। আমার sasradhya প্রণাম গ্রহণ করবেন 🙏🙏
ReplyDeletePronam moharaj 🙏🏼
ReplyDeleteAntorik pronam swamiji🙏🏼
ReplyDeleteAburbo, Pranam neben Maharaj.
ReplyDeleteমহারাজ খুব ভাল লাগল নিমাই এর জীবন কাহীনী।সত্যি কথা আপনার সান্নিধ্য লাভ করে অনেক মূল্যবান তথ্য জানতে পারছি।এটাও ঈশ্বরের অশেষ কৃপা। যবন হরিদাস আর নিত্যাননদ র সম্পর্ক অনেক কিছু জানতে পারলাম। আরও অনেক জানার অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকবেন মহারাজ। ধন্য আপনি,ধন্য ঠাকুর।
ReplyDeleteপ্রনাম নেবেন মহারাজ। খুব সুন্দর লেখনি।যবন হরিদাসের জীবনী সম্পর্কে জানলাম। ভাল লাগল। প্রনাম নেবেন মহারাজ
ReplyDeleteপরবর্তী অংশ পড়বার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। আমার অন্তরের সভক্তি🙏🙏 গ্ৰহণ করুন। ঠাকুর মায়ের কাছে আপনার মঙ্গল কামনা করি।
ReplyDeleteVoktipurno pronam maharaj
ReplyDeleteজয় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জয়।ভাল লাগছে,অনেক না জানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারলাম। আপনাকে শ্রদ্ধা যুক্ত প্রণাম জানাই আচার্য দেব।বাদ বাকি টা জানতে চাই।ভীষণ ভাল লাগছে এই মহতী বিষয় জানতে পেরে,এতো ভাল করে জানা ছিল না।আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই লেখক কে।বিনু চক্রবর্তী,বাড়ি, মালদা। জয় ঠাকুর
ReplyDeleteপ্রণাম মহারাজ
ReplyDelete"জয় ঠাকুর-মা-স্বামিজী"
ReplyDeleteচৈতন্য মহাপ্রভুর অনেক না জানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। আমরা অনেক নতুন কিছু জানতে পারছি। আপনাকে আমাদের শতকোটি প্রণাম জানাই 🙏🙏🙏
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনী বিস্তারিত জানতে পেরে মন খুব ভালো হয়ে গেল। আরও জানার অপেক্ষায় রইলাম, 🙏🙏🙏
ReplyDeleteSovakti pranam Achariyo Maharajji 🌻🌻🙏🏻🙏🏻. Osadharon laglo porey Hatidas Thakurer Titiksha o Vaktir adhar dekhey. Aber Nityananda, Nimai, Adytananda, Jogai Madhai er Vakti r nidorshan Apner ei lekhoni r madhyomey gyanprapti korey🙏🏻. Ekebarey mon vorey gelo. Maharajji, aro aro koto koto Gyan er prapti korbo sei asha te achhi🙏🏻🙏🏻.
ReplyDeleteSri Chaitanya Maha pravur 3rd part. Parlum. Kata sundar vabe apni likhechen Maharaj. Kata na jana bisoy jante parchi. Khub valo lagche. Antare ato tuku holeo vakti r vab anuvab kari. Apnar Sri charane sata sata vakti sraddha nibedan kari. Ar bali anek diyecha Nath amay anek diyecha Nath 🙏🌷
ReplyDeleteখুব ভালো লাগছে চৈতন্য মহাপ্রভুর কথা যতই জানছি ততই আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে অনেক কিছুই জানতাম না, আপনার কাছে এসে আমরা অনেক মহাপুরুষের কথা জানতে পারছি ধন্য আমরা আপনার সঙ্গ পেয়ে জনম জন ম আপনার মত গুরু পায় প্রণাম শিক্ষাগুরু দেব শিখা মন্ডল বজবজ।
ReplyDeleteএই প্রতিবেদন টি ও যথারীতি অনবদ্য, মহাপ্রভুর লীলার বিষয়ে বিশদে জানতে পারছি, কত অজানা তথ্যই আপনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে জানতে পারছি, পরের পরের ঘটনার জন্য ব্যকুল আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষায় রইলাম। আপনার চরনে ভুলুন্ঠিত প্রনাম জানাই।
ReplyDeleteখুব সুন্দর লাগলো মহারাজ। সশ্রদ্ধ প্রনাম নেবেন 🙏🏻🙏🏻
ReplyDeleteKhub sundor khub valo laglo pore pronam neben🙏🙏Maharaj
ReplyDelete🙏🙏🙏🙏
ReplyDeleteApurbo laglo, Sunday apekhai thake, notun kichhu porar jonyo, Nimai theka sree choitonyo asima batabyal
ReplyDeleteপ্রনাম মহারাজ জী। অপূর্ব সুন্দর।সহজ সরলভাবে লেখা, ভীষণ ভালো লাগছে পড়তে।🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
ReplyDeleteখুব সুন্দর।,🙏🙏 প্রনাম মহারাজ ❤️❤️ আরও জানতে চাই।
ReplyDeletePronam
ReplyDeleteভীষণই ভালো লাগছে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরে মহারাজ!আপনার চরণে ভক্তি শ্রদ্ধা পূর্ণ প্রণাম নিবেদন করছি!🙏🌷🙏
ReplyDeleteKhub valo laglo pronam maharaj ji joy nimy nity horibol
ReplyDeleteShree chatanya dever jibani dharabahikbhabe porte bhalo lagchhe. Tini jati dharma o samprodayer urdhe chhilen. Akdike ishwar bhaktite dube achhen ara anyadike samaj sanskar korechhen. Manus nij nij guner ahankare magna chhilen takhan shee chaitanydev bujhiye dilen ete samaj unnata hay na. Chai antarnihita shaktike jagiye tola abn parasparke bhalabasa. Adbhut ak debmanab chhilen chaitanyadev. Pronam neben maharaj. Krishnadey, jamshedpur.
ReplyDeleteKhub valo laglo Maharaj anek kichhu jante parchhi 🙏🙏
ReplyDeleteঅসংখ্য বার প্রণাম জানাই আপনার শ্রীচরণে ।মহাপ্রভু চৈতন্য জীবন কাহিনী সসম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। কিন্ত আরও জানতে চাই পরের টাও জানাবেন।আপনার সুস্থতা কামনা করি আমাদের ই স্বার্থে।🙏🙏🙏🙏🙏
ReplyDelete🙏🙏🙏
ReplyDeleteচৈতন্য মহাপ্রভুর তৃতীয় অধ্যায় পড়ে খুব ভালো লাগলো। প্রণাম জানাই স্বামী মহারাজ জী শ্রী চরণে
ReplyDeleteJoy sri Chaitanya Mahaprabhu joy, onek ojana thathya jante parchhi,,,aroo jante chai,,,,,apni amar antoric pronam neben.
ReplyDeleteভক্তির অবতার শ্রী চৈতন্য দেবের তৃতীয় পর্ব টি ও প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের মতো অসাধারণ লাগলো। কি সুন্দর লেখা যেনো জীবন্ত হয়ে উঠেছে ঘটনা গুলো। অনেক নতুন নতুন তথ্য জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। প্রনাম গ্রহন করুন আচার্য দেব। অপর্না দেওয়ানজী, সুভাষ গ্রাম।
ReplyDeleteJoy Mahaprabhu Sree chaitnya
ReplyDeleteDeber joy... Maharajji... Apurbo
Mahaprabhu jibani... ato sunder
bhabe barnana diye Lekha. Bhisan bhalo laglo... Amader param pujaniya Maharajji
K antarik dhnyabad bad sasradha Pranam Janai..
🌷🙏🌷🙏🌷🙏Jaya choudhury
খুব ভালো লাগছে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনী পড়ে। আপনার চরণে শ্রদ্ধা ভক্তি পূর্ণ প্রণাম নিবেদন করি মহারাজ🙏
ReplyDeleteKhub valo laglo jatpi shuni tatpi valo lage mhapuruser jibonj shune jeno anyo jagote chole jai apni valo thakbem maharaj swapna byanarjee ...Birati
ReplyDeleteমহারাজ আত্মজ্যোতি শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর কথা সকল পড়ছি ভীষণ ভাল লাগছে ,পরের অংশ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম, অনেক অনেক সশ্রদ্ধ প্রণাম নেবেন মহারাজ 🙏🙏🙏 মঞ্জুলা দাস দুবাই ।
ReplyDeleteঅনাবিল আনন্দ পেলাম। 🙏🌺🏵️🌺🙏
ReplyDeleteKhub Ananda pelam anek kichu jante parlam sikha Bal
ReplyDeleteDaruun lagche maharaj. Anek utsha pachhi. Pranam neben. Ruma sen gupta patna
ReplyDeleteভীষন ভীষন ভালো লাগছে মহারাজ। কতকিছু জানছি মহারাজ আপনার কৃপায়।আপনাকে পেয়ে আমি প্রকৃত শিক্ষা য় শিক্ষিত হচ্ছি প্রতিটা দিন। আমার ভক্তিপূর্ন প্রনাম আপনার শ্রীচরনে🙏🙏
ReplyDeleteশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভূর জীবনী বিস্তারিত ভাবে জানতে পারছি।খুব ভাল লাগছে।জানার আগ্রহ ও বাড়ছে। ভক্তিপূর্ণ প্রণাম নেবেন।ভাল থাকবেন।🙏🙏🙏🙏।মধুমিতা মুখার্জী।দক্ষিনেশ্বর
ReplyDeleteসুপ্রভাত, প্রনাম নেবেন মহারাজ। 🙏মহাপ্রভুর জীবনের অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরে খুব ভালো লাগছে
ReplyDeleteপ্রতিটি পর্ব আপনার লেখনীর মাধ্যমে জীবন্ত চিত্র হয়ে উঠছে, মন আরও জানার ইচ্ছায় ব্যাকুল হয়ে উঠছে।
আপনার জন্য প্রতিদিন, ক্লাশে ও এই বিবেকজ্যোতি ব্লগ পড়ে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছি মহারাজ🙏
বোধকরি মনের পুষ্টি রকেই বলে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
🙏🌹🙏
অর্পিতা বসু বাগবাজার।
মহারাজ আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম নেবেন। অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরে সমৃদ্ধ হচ্ছি। ভীষণ ভালো লাগছে পড়তে । আগামী দিনের অপেক্ষায় রইলাম। আপনি ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আমার প্রণাম নেবেন।
ReplyDeleteপ্রনাম নেবেন মহারাজ।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো মহারাজ।
ReplyDeleteসশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই মহারাজ।মহাপ্রভুর এই তিনটি পর্ব একসাথে পড়ে মুগ্ধ হলাম।এত সুন্দর সাবলীল লেখা।শুধু ধর্মের কথা নয় গল্প কথা ও।শতসহস্র প্রণাম।
ReplyDeleteজয় ঠাকুর, মা, স্বামীজি 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🌹🌹🌹,প্রনাম মহারাজ 🙏🙏🌹🌹 জী, আপনার অসাধারণ লেখনী র গুনে অনন্যসাধারণ হয়ে উঠেছে জানা বিষয়। অনেক অজানা বিষয় ও অবগত হচ্ছিও সমৃদ্ধ হচ্ছি,। প্রতিদিন উপকৃত হচ্ছি আমরা, আপনার অনুধ্যান অনুষ্ঠানে র মাধ্যমে। আপনি পরম করুণাময়ের কৃপায় সুস্থ থাকুন ও আপনি যেন সেবামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারেন,, এই প্রার্থনা করি মঙ্গলময়ের কাছে।প্রনাম জানাই 🙏🙏🌹🌹। শান্তা বিশ্বাস সাহা, দুর্গাপুর।
ReplyDelete🙏"ভক্তির অবতার শ্রীচৈতন্য "🙏
ReplyDelete... শিরোনাম-টি কি...সুন্দর!! নিত্যানন্দ, ভক্ত হরিদাস -অপূর্ব প্রেরণা!! কত যত্ন নিয়ে -কি যে সুন্দর করে গুছিয়ে লেখেন আপনি !! অমূল্য অপার্থিব সম্পদ!! অসামান্য সুন্দর!! সত্যিই আপনি অপ্রতিরোধ্য.. salute মহারাজ। শ্রদ্ধায় গর্বে বুক ভরে যায়!! এগিয়ে চলুন মহারাজ। বিনম্র ভক্তি চিত্তে কোটি কোটি প্রণাম মহারাজ।একরাশ শ্রদ্ধা সহ সুস্থ ও ভালো থাকার আন্তরিক শুভ কামনা নিরন্তর.....
🙏🌷🙏🌷🙏🌷🙏🌷🙏
🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿
অপূর্ব অপূর্ব সুন্দর লেখা পড়ে অভিভূত হয়ে গেলাম। এতো সুন্দর আর গুছিয়ে লেখা।।পড়ে মন আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে গেল। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও যবন হরিদাস, জগাই মানাই। অনেক কিছু জানা ছিল আবার অনেক নুতন কিছু জানলাম।
ReplyDeleteমহারাজ আপনার শ্রীচরণে নতমস্তকে আভুমি ভুলুন্ঠিত প্রনাম জানাই 🙏🌷🙏
জয় ঠাকুর মা স্বামীজি 🙏🌷🙏🌷🙏🌷
শুভ রাত্রি 🙏 ভালো থাকবেন মহারাজ 🙏
দেবশ্রী বিশ্বাস বহরমপুর থেকে 🙏🌷
অপূর্ব লেখা মহারাজ.. শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আর ভক্ত হরিদাসের কথা খুব ভালো লাগলো.. শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পৈতৃক বাড়ি সিলেটের ঢাকা দক্ষিণ.. আমার দর্শনের সৌভাগ্য হয়েছিল.. সেখানে মন্দির রয়েছে..সিলেটে মহাপ্রভুর প্রভাবে প্রচুর বৈষ্ণব ছিলেন.. এখন তো সংখ্যা হিন্দুর অনেক কমে গিয়েছে..আমাদের হবিগঞ্জে আখড়া ছিল.. সেখানে মহাপ্রভু র অপূর্ব সুন্দর মূর্তি আর বৈষ্ণব রা ছিলেন.. কীর্তন হতো অহোরাত্র..আপনার লেখাটি তথ্য সমৃদ্ধ খুব প্রাণিত হই.. প্রণাম মহারাজ! 🙏🙏🙏
ReplyDeleteঅপূর্ব লেখা মহারাজ.. শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আর ভক্ত হরিদাসের কথা খুব ভালো লাগলো.. শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পৈতৃক বাড়ি সিলেটের ঢাকা দক্ষিণ.. আমার দর্শনের সৌভাগ্য হয়েছিল.. সেখানে মন্দির রয়েছে..সিলেটে মহাপ্রভুর প্রভাবে প্রচুর বৈষ্ণব ছিলেন.. এখন তো সংখ্যা হিন্দুর অনেক কমে গিয়েছে..আমাদের হবিগঞ্জে আখড়া ছিল.. সেখানে মহাপ্রভু র অপূর্ব সুন্দর মূর্তি আর বৈষ্ণব রা ছিলেন.. কীর্তন হতো অহোরাত্র..আপনার লেখাটি তথ্য সমৃদ্ধ খুব প্রাণিত হই.. প্রণাম মহারাজ! 🙏🙏🙏
ReplyDeleteনীলিমা সিংহ রায় চৌধুরী, ঢাকা।